নাইজারে অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে ইইউ-এইউ
নাইজারে এ সপ্তাহের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা ও আর্থিক সহায়তা স্থগিদের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অন্যদিকে, আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) অভ্যুত্থানে জড়িত সামরিক নেতাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গত বুধবার এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজোমকে আটক করা হয়। আর গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের কমান্ডার জেনারেল আবদোরহমানে টিয়ানি নিজেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন। খবর আলজাজিরার।
আজ শনিবার (২৯ জুলাই) ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে জানান, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব ধরনের সহযোগিতামূলক তৎপরতা এবং এর পাশাপাশি দেশটির জন্য বাজেট সহায়তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হলো, যা যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর হবে।
ইইউয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নাইজারে শাসন, শিক্ষা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য সংস্থাটি ৫৫৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছিল।
জোসেপ বোরেল বিবৃতিতে বলেন, ‘বাজোম নাইজারের একমাত্র বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবেই থাকবেন।’ বোরেল আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য অভ্যুত্থানে জড়িত নেতারাই দায়ী থাকবেন।’ এ ছাড়া তিনি বাজোমের দ্রুত মুক্তিরও আবেদন জানান।
জোসেপ বোরেল বলেন, ‘ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোটের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নাইজারের পদচ্যুত নেতার প্রতি ‘নিরন্তর সমর্থনের’ আশ্বাস দেন এবং তাকে যারা আটকে রেখেছে তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘দেশটিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় স্থাপন না হলে শত শত মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
ব্লিঙ্কেন শুধু নাইজার ৯ বৃহত্তর পশ্চিম আফ্রিকার নিরাপত্তায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাজোমের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে, আফ্রিকান ইউনিয়ন নাইজারে ক্ষমতা গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার পাশাপাশি দেশটিতে সাংবিধানিক ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে। এইউয়ের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার এক বৈঠকে এই দাবির কথা জানায়।
আফিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ বলে যে, একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা জানায়। পাশাপাশি আফ্রিকা মহাদেশে বাড়তে থাকা সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি।