তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের ৪২ যুদ্ধবিমান
সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। তবে, এরপরেই একের পর এক যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমায় প্রবেশ করেছে। আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) তাইয়ান কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলছে, সামরিক মহড়ার ঘোষণার পর ৪২ চীনা যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। খবর এএফপির।
দ্বীপ দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত (গ্রিনিচ মান সময় ৮টা) আমাদের রিপাবলিক অব চায়না আর্মড ফোর্স (আরওসি) চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সের ৪২টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ২৬টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ার প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধ হচ্ছে এমন পরিস্থিতি ভেবেই মহড়াটি হচ্ছে। এতে অংশ নিয়েছে আটটি যুদ্ধ জাহাজ।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আমাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। চীনের যুদ্ধবিমানের মধ্যরেখা অতিক্রমের জেরে তাইওয়ানও যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম সিনহুয়ার তথ্য মতে, আজ সকালের দিকে তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এই মহড়ায় যৌথভাবে অংশ নিবে দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনী। তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরেই চীন থেকে এ ঘোষণা আসে।
চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাইওয়ান প্রণালীতে বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় চীনের।
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, গত বছর তাইওয়ানের ওপর বিরুদ্ধে চাপ বাড়িয়েছে চীন। দ্বীপটির চারপাশে প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিমান এবং জাহাজ পাঠিয়েছে বেইজিং।