শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি কমে চার শতাংশে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/09/01/shriilngkaa-thaamb.jpg)
অর্থনৈতিক সংকটে দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি গত আগস্টে চার শতাংশে নেমে এসেছে। দেশটির এই মূল্যস্ফীতি গত বছরের অর্থনৈতিক সংকটের পর সর্বনিম্ন। শ্রীলঙ্কার জরিপ এবং পরিসংখ্যান দপ্তরের বরাতে আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, তীব্র বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা আমদানিতে ব্যাপক কাটছাঁট করেছে। জ্বালানি তেল, ওষুধ ও খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা থেকেও বিরত থাকে দেশটি। এর ফলে দেশটিতে সমস্ত পণ্যের দাম বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতির জেরে বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয় দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট।
তবে, চলতি বছরের শুরু থেকে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি কমতে থাকে। গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে ছয় দশমিক তিন শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ, যা দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/09/01/shriilngkaa-in.jpg)
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতির এই নিম্নগামী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
গত বছরের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা তাদের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির সরকার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। ওই সময় দেশটির বৈদেশিক ঋণ ছিল চার হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। এতে দেশটিতে গণবিক্ষোভ দেখা দেয়। জনতার রোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালান সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পরে, বিদেশে থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই সময় অর্থমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হন।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে জরুরি ভিত্তিতে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ চায় শ্রীলঙ্কা। আইএমএফ সেটি দিতেও সম্মত হয়।
চলতি মাসে কলোম্বোতে যাবে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল। এই সফরে দেশটির ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পর্যালোচনা করবে দলটি। এরপরেই দেশটির জন্য ঋণের আরও ৩৩ কোটি ডলার ছাড় করবে বৈশ্বিক সংস্থাটি।
শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি কমলেও দেশটিকে সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে আন্তর্জাতিক ঋণ দাতা সংস্থাটি। তারা বলছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির যে উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে তা অস্থায়ী। কলম্বোকে সংস্কারগুলো অনুসরণ করতে হবে।
রনিল বিক্রমাসিংহে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অর্থনৈতিক সংস্কারে কর দ্বিগুণ করেছেন। জ্বালানিতে ভর্তুকি কমিয়েছেন। এতে করে রাষ্ট্রের আয় বেড়েছে। আয় বাড়ানোর সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বিক্রমাসিংহের সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ১১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা আজ থেকে কার্যকর হবে।