গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছেই, মৃতের সংখ্যা হাজারের বেশি
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন ইসরায়েলের একটি সংগীত উৎসবে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ঘটনাস্থল থেকে ২৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে দেশটিতে হামাসের হামলায় তাদের ৭০০’র বেশি নাগরিক মারা গেছে। আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় তাদের ৪১৩ জনের বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের একগুচ্ছ আক্রমণের মধ্য দিয়ে কয়েক যুগ সময়ের ভেতর সবচেয়ে বড় ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
গতকাল রোববার (৮ অক্টোবর) রাতেও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষবস্তুতে একে পর এক রকেট এসে আঘাত করে। এসব রকেট ছোড়া হয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি অবস্থানগুলো থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে ভয়াবহ এই সংঘর্ষে তাদের বেশ কয়েকজন নাগরিক নিহত হয়েছে। তবে ঠিক কতজন লোক মারা গেছে তা জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন জোরালো করছে আরও অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের মাধ্যমে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সৈন্য সংখ্যাও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে যে, তাদের নাগরিকরা সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে অথবা হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছে। ওদিকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষবস্তু লক্ষ্য করে বেশকিছু বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে জাবালিয়া এলাকার একটি মসজিদও রয়েছে যেটিকে হামাস যোদ্ধারা আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহার করতো। এছাড়া হামাস নেভাল ফোর্সের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভবনেও হামলা চালায় ইসরায়েল।
এদিকে, অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জ্বালানি সরবরাহের অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে। অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর একমাত্র বিদ্যুতের উৎসটি বন্ধ হয়ে গেলে অন্ধকারে প্রাণহানি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওদিকে, হামাসের শক্তির বলয় ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এজন্য তৎপর রয়েছেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে সংঘাতে এক লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।