আদিবাসীদের অধিকার ও স্বীকৃতির প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ায় চলছে গণভোট
অস্ট্রেলিয়ার রৌদ্রতপ্ত সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে ধূলিধূসর জনবিরল শহরগুলোর নাগরিকরা আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও অধিকার নিশ্চিতের প্রশ্নে আয়োজিত ঐতিহাসিক গণভোটে অংশগ্রহণ করছেন।
প্রায় ২৩০ বছর আগে সিডনি উপকূলে ব্রিটিশ জাহাজ ভেরানোর পর এই ভোটাভুটি প্রথম জাতিসত্ত্বা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পুনর্মিলনীর চেয়ে দূরত্বই তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
অস্ট্রেলিয়ার এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার প্রথমবারের মতো আদিবাসীদের সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে ও একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে ওইসব সম্প্রদায়ের জন্য আইনটি কার্যকর করতে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিতে জড়ো হচ্ছেন ভোটকেন্দ্রগুলোতে।
প্রায় ৬০ হাজার বছর আগে থেকে এই মহাদেশটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জাতিসত্ত্বার লোকজন বসবাস করে আসছে। তবে এই আদিবাসীদের ওপর সহিংসতা, জোর করে নিজেদের করে নেওয়া ও স্থায়ী বঞ্চনার ঘটনাপ্রবাহে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা নেমে আসে।
বর্তমানে আদিবাসীরা মোট জনসংখ্যার চার শতাংশে নেমে এসেছে। তাদের মধ্যে অসুস্থ, কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়াদের সংখ্যাও কম নয়।
এই অসমতা স্থায়ীভাবে দূর করতে আদিবাসীদের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করতেই প্রচারণা চালাচ্ছেন ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকরা। তবে, প্রাক-নির্বাচনী জরিপে গণভোটে ‘হ্যা’ পক্ষের লোকদের জয়ী না হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে দেখা গেছে, ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে এবং ‘না’ ভোটে রয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ জনসমর্থন।
এসব জরিপে আরও দেখা গেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আর ভোটের আগে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এবং দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয়গুলোই গণমাধ্যমে বেশি আলোচিত হচ্ছে।