যুদ্ধবিরতিতে বন্দি বিনিময় করল হামাস-ইসরায়েল
জিম্মি করে রাখা ১৩ জন, যাদের মধ্যে ছয়জন বয়স্ক ব্যক্তি, তিনজন মা ও চার শিশুকে ইসরায়েলে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসের হাতে আটক ২৪০ জন বন্দির মধ্যে এ নিয়ে মোট ২৯ জনকে মুক্তি দিল হামাস। তবে, চুক্তির আওতায় না থাকলেও ১০ জন থাই নাগরিক ও একজন ফিলিপিনোকেও গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) মুক্তি দেয় হামাস। এর আগে গত অক্টোবরে পাঁচজন পণবন্দিকে মুক্ত করেছিল হামাস। খবর এএফপির।
অন্যদিকে, ১৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস ছেড়ে দেওয়ার পরপরই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় হামলা বন্ধ করে ইসরায়েল। একইসঙ্গে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্ত করে তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
মোট ৩৯ জন বন্দির মধ্যে ২৮ জনকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে মুক্ত করা হয়, আর বাকি ১১ জনকে সম্প্রসারিত পূর্ব জেরুজালেমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাঁজোয়া যানের পাহারায় বন্দিদের বহনকারী দুটি সাদা কোচ এ সময় সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প থেকে ছেড়ে যায়।
ফিলিস্তিনি বন্দিরা যখন বাসে বিউতেনিয়ায় পৌঁছান, তখন বেশ কিছু স্থানীয়রা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে ওই এলাকা মুখরিত করে তোলেন। এ সময় কিছু আতশবাজিও পোড়ানো হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, মুক্তি পাওয়া লোকজনের তালিকায় রয়েছেন ২৪ জন নারী ও ১৫ জন অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে।
এদের মধ্যে ছিল সাত বছর আগে গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ বছর বয়সী মালাক সালমান। ওই সময় স্কুলে যাবার পথে জেরুজালেমে একজন ইসরায়েলি পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেইত সাফাফা এলাকায় ফিরে আসার পর ২৩ বছরের সেই মালাক সালমান ছিল ফিলিস্তিনি পুলিশের পাহারায়। এ সময় তার মা ফাতিনা বলেন, ‘আমার মেয়ে খুব দুর্বল, গতকাল থেকে সে কিছু খায়নি। আমাদের বাড়িতে পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন এবং তারা মেয়েকে দেখতে আসা লোকজনকে থামানোর চেষ্টা করছেন।’
এর আগে জেরুজালেমে বন্দি মুক্তির জন্য যেকোনো ধরনের উদযাপন অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।