দ্বিতীয় দফায় জিম্মি ও বন্দি বিনিমিয় করল হামাস-ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজা উপত্যকা থেকে নিজেদের হাতে জিম্মি করে রাখা আরও একদল ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে শনিবার (২৫ নভেম্বর) মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ১৩ জন ইসরায়েলি ও চারজন থাই নাগরিক ইসরায়েলে ফিরে এসেছে। খবর এএফপির।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মোট ১৭ জন জিম্মিকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলের নাগরিক ও চারজন থাইল্যান্ডের অধিবাসী।
হামাসের সশস্ত্র শাখা থেকে বলা হয়, ১৩ জন ইসরায়েলি ও সাতজন বিদেশি নাগরিককে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে, বিদেশি নাগরিকদের মুক্তির বিষয়ে সংখ্যার এই গড়মিল প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে, ইসরায়েলের কারাগার কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোরে ঘোষণা দেয়, তারা ৩৯ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। গত শুক্রবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি অনুসারে ১৩ জন জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার পরপরই এই ঘোষণা দেওয়া হলো। এই চুক্তি অনুসারে, চারদিন যুদ্ধিবিরতি চলবে এবং এই সময়ে ৫০ জন ইসরায়েলি এবং ১৫৯ জন ফিলিস্তিনিকে দুপক্ষ মুক্তি দেবে।
গত শুক্রবার হামাস ১৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি থাকা ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করে দেয়। এসব জিম্মি ও বন্দিদের সবাই নারী ও শিশু। এরপর দ্বিতীয় ধাপে শনিবার দুপক্ষের মধ্যে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের এই ঘটনা ঘটল। তবে, বন্দি বিনিময়ের পর মুক্ত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে পূর্ব জেরুজালেমে উদযাপন অনুষ্ঠান করতে দেয়নি ইসরায়েলি পুলিশ।
এসব বন্দিদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে ৩৭ বছরের ইসরা জাব্বিসের কথা। এই নারী ২০১৫ সালে তার নিজের গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি তল্লাশি চৌকি উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিচারে তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে মুক্তির পর তার বাড়িতে ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর কড়া পাহারা। জাব্বিসের শুকনো আঙুল ও আধাপোড়া চেহারার ছবি ফিলিস্তিনিদের আন্দোলনে নিয়মিতভাবে দেখানো হতো।
অন্যদিকে, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনতা চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকার প্রশংসা করে স্লোগান দেয়। পশ্চিম তীরের কিছু অংশ এখনও হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।