রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত : পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত৷ তবে খুব দ্রুত এমন আশঙ্কার কারণ দেখছি না৷
রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল রোসিয়া ওয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া বা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সৈন্য মোতায়েন করলে সেই পদক্ষেপকে যে হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হবে, সে বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন সচেতন৷
পুতিন বলেন, ব্যবহারের জন্যই অস্ত্রের অস্তিত্ব রয়েছে৷ তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউক্রেনে স্বঘোষিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’-এর আওতায় রাশিয়া কখনো পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের কথা ভাবেনি৷ ইউক্রেন সংকট নিয়ে শান্তি আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ তবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সেই সংলাপ চালাতে হবে৷
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান দল ৬,০০০ কোটি ডলার অংকের সামরিক সহায়তার প্যাকেজ আটকে রাখার ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন বড় সমস্যায় পড়েছে৷ বিশেষ করে গোলাবারুদ ফুরিয়ে আসায় রাশিয়ার হানাদার বাহিনীর মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে উঠেছে৷ এমন পরিস্থিতিতে অসহায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশেষে সামান্য হলেও কিছু সহায়তা পাঠাতে পারছেন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গতকাল মঙ্গলবার বলেন, আপাতত ৩০ কোটি ডলার মূল্যের ক্ষেপণাস্ত্র, কামানের গোলা ও বন্দুকের গুলি ইউক্রেনে পাঠানো হবে৷ যদিও সেই সহায়তা মোটেই যথেষ্ট নয়৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেই গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাবে৷
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্যান্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাশ্রয় করা অর্থ দিয়ে গত ডিসেম্বর মাসের পর ইউক্রেনের জন্য প্রথম মার্কিন সহায়তা সম্ভব হচ্ছে৷
বাইডেন বিরোধী রিপাবলিকান দলের উদ্দেশ্যে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনের জন্য বড় আকারের সহায়তার প্যাকেজ অনুমোদনের ডাক দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া মোটেই ইউক্রেনে থামবে না৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা মুক্ত বিশ্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন৷
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালাইভান বলেন, বর্তমান সহায়তা প্যাকেজে দূরপাল্লার হাইমার্স রকেট, বিমান ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র, কামানের গোলা এবং ছোট অস্ত্রের গুলি রয়েছে৷
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রধান উইলিয়াম বার্নস মার্কিন কংগ্রেসকে বলেন, ইউক্রেন সাহস ও অটল প্রত্যয় হারিয়ে ফেলছে৷ তাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে আসছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সে দেশকে সহায়তার সময়ও কমে চলেছে৷ এমন নিষ্ক্রিয়তার বড় মূল্য যুক্তরাষ্ট্রকে চোকাতে হবে৷