যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনা না দিলে ইসরায়েলের মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন বেনি গ্যান্টজ
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পণবন্দিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি তুলে বিভিন্ন সময়ে রাজধানী তেলআবিবে বিক্ষোভ করেছে হাজারও মানুষ। যুদ্ধ যত দীর্ঘ হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন ততোই বাড়ছে।
হামাসের হামলার পরপর ইসরায়েলে গঠিত যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য হন বেনি গ্যান্টজ। ২০২৪ সালের ৬ মার্চ গ্যান্টজ যুক্তরাষ্ট্র সফর করার পর থেকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ তৈরি হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন তিনি। খবর আলজাজিরার।
এসব ঘটনার মধ্যেই গতকাল শনিবার (১৮ মে) বেনি গ্যান্টজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ৮ জুনের মধ্যে গাজার জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে অন্যথায় তিনি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন।
এ প্রসঙ্গে এক সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালনকারী বেনি গান্টজ বলেন, এ দাবি পূরণ করা না হলে গত বছর গঠিত গাজার যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভা থেকে নিজের দলকে প্রত্যাহার করে নেবেন।
ইসরায়েলে বেনি গ্যান্টজকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় যোগদানের আগে তিনি বিরোধী দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন।
সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বেনি গ্যান্টজ বলেন, ইসরায়েলি সরকারের ভেতরে ফাটল দিন দিন গভীর হচ্ছে এবং গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার চাপকে বাড়িয়ে তুলছে। গ্যান্টজের পরিকল্পনা অনুসারে গাজায় ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, অঞ্চলটিকে সেনামুক্ত করা এবং গাজার নাগরিকদের জন্য মার্কিন, ইউরোপীয়, আরব এবং ফিলিস্তিনিসহ সবাইকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করতে হবে।
নেতানিয়াহুর সমলোচনা করে বেনি গ্যান্টজ বলেন, যুদ্ধের পর হামাস বা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস কেউই গাজা শাসন করতে পারবে না। গাজাকে সেনামুক্ত করার জন্য হামাসের সামরিক শাখা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলতে হবে, যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২২৫ দিন লড়াইয়ের পরেও অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।