পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত
পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলের হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) এই হামলার সময় মুখোশধারী বন্দুকধারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর এএফপির।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেনিন শহরের পাশে শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং এ সময় শিবির থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়। শহরটির উপকণ্ঠে এ সময়টিতে কমপক্ষে পাঁচজন বন্দুকধারীকে সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়।
রামাল্লার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা আটজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর আগে নিহতের এই সংখ্যা সাত ছিল বলে জানিয়েছিল তারা। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় জেনিন শহরে আরও ২০ জন আহত হয়েছে। এএফপির সাংবাদিক জানিয়েছেন, জেনিনের খলিল সুলেমান হাসপাতালের মর্গে চারটি মৃতদেহ দেখা গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা শহরটিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। পরে অবশ্য তারা স্বীকার করে নেয়, শহরটিতে নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বন্দুকধারীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে একজন মেডিকেল সার্জন রয়েছে। জেনিনের সরকারি হাসপাতালের ওই কর্মকর্তার নাম উসায়িদ জাবারিন।
হাসপাতালটির পরিচালকের বরাত দিয়ে ওয়াফা আরও জানায়, সংঘর্ষে একজন শিক্ষক ও একজন ছাত্রও নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আমের মানাসরা নামের একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের পর জেনিনের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিবিরগুলো খালি করে দেওয়া হয়। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর বুলডোজার ছাড়া আশ্রয় শিবিরের সব রাস্তা ও আশপাশের এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তারা লুকোনো বোমা খুঁজতে অভিযান চালাচ্ছে আশ্রয় শিবির ও হাসপাতালের মধ্যবর্তী এলাকায়। এ সময় আকাশে ড্রোন ওড়ার শব্দ শোনার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসে।