রাফায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/30/raaphaah-haamlaa-thaamb.jpg)
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে আশ্রয় নেওয়া কয়েক লাখ বেসামরিক নাগরিকের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ট্যাংক বহর নিয়ে শহরটির কেন্দ্রে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী ঢুকে পড়ে। এরপর সেখানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের সামনাসামনি লড়াই হচ্ছে। এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা মিসর-গাজা সীমান্তে ফিলাডেলফি নামে যে করিডোর রয়েছে, সেটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর মাধ্যমে একটি বিষয় পরিষ্কার হলো, আন্তর্জাতিক নিন্দাকে উপেক্ষা করে ইসরায়েল তাদের স্থল অভিযানের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
গতকাল সারা রাত এবং আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ ইউনিট রাফা শহরের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি স্থলবাহিনী রাফার আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা ও আলজাজিরা অ্যারাবিক এ তথ্য দিয়েছে।
রাফার তাল আস-সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ফিলিস্তিনি রেডক্রসের দুজন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া তাল আস-সুলতান এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ওয়াফার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে জয়তুন এলাকার বেশকিছু বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হামলার পর হতাহতদের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/05/30/raaphaah-haamlaa-inaar.jpg)
রাফার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবা বিভাগের উপপরিচালক হাইথাম আল-হামস জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো শহরের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য মেশিনগান ও ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত এসব কোয়াডকপ্টার ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে ইসরায়েল গোয়েন্দ তথ্য সংগ্রহের জন্য এসব ড্রোন ব্যবহার করতো।
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডিব্লিউএকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের মালোট দাফনা এলাকায় তাদের সদর দপ্তর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি ভূমি কর্তৃপক্ষ। এক চিঠিতে ভূমি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের ওই সংস্থাটির কাছে ৭৩ লাখ ডলার পাওনা রয়েছে বলেও দাবি করেছে।