কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন ভারতে
জমকালো আয়োজনে গতকাল রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া তার দল বিজেপিকে এবার জোট সরকারে যেতে হয়েছে। মন্ত্রিসভায় পদ দিতে এনডিএ জোটের শরিক দলগুলোকে। গতকালই ৭২ জন মন্ত্রী শপথগ্রহণ করেন। তবে, গতকাল পর্যন্ত কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন সেই সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
এবারের মন্ত্রীসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবারও থাকছেন রাজনাথ সিং আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এস জয়শঙ্কর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ অপর মন্ত্রণালয় থাকছে নির্মলা সীতারমণের হাতে। তিনি দায়িত্ব পালন করবেন অর্থ মন্ত্রণালয়য়ের। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমটি তার প্রতিবেদনে বলছে, বিহারের লোক জনশক্তি দলের (রাম বিলাস) প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসওয়ান খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি জোট শরিক হিসেবে এই দায়িত্ব পেলেন। আরেক জোট শরিক বিহারের হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা-সেক্যুলার (এইচএম-এস) দলের প্রতিষ্ঠাতা জিতেন রাম মাঞ্জিকে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির এবার সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল (ইউনাইটেড) জেডি–ইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিংকে (লালন সিং) পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য, পশু পালন ও ডেইরি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে।
এ ছাড়া কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। পর্যটন ও সংস্কৃতি দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন গাজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণ পেয়েছেন রেলওয়ে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হয়েছেন কিনজারাপু রামমোহন নাইডু, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন অন্নপূর্ণা দেবী।
বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, নীতীন গড়করি সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও সড়কে এবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অজয় তামতা ও হর্ষ মালহোত্রা। আর হরদীপ সিং পুরি পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী, মানসুখ মান্দাভিয়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, জি কিষান রেড্ডি কয়লা মন্ত্রণালয় ও খনি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সি আর পাতিল পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন।
এ ছাড়া গৃহায়ণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মনোহর লাল খাট্টারকে, ভারী শিল্প এবং ইস্পাত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে এইচ ডি কুমারাস্বামীকে, পীযূষ গয়াল হয়েছেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, ধর্মেন্দ্র প্রধানকে করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী, সর্বানন্দ সোনোয়াল সামলাবেন বন্দর, জাহাজ ও নৌপথ মন্ত্রণালয়, সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বীরেন্দ্র কুমারকে, প্রহ্লাদ যোশী পেয়েছেন খাদ্য এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণলালয়ের দায়িত্ব, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন জুয়াল ওরাম, গিরিরাজ সিং পেয়েছেন বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, জ্যোতিরাদিত্য এম সিন্ধিয়া পেয়েছেন টেলিকম মন্ত্রণালয় এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, ভুপেন্দর যাদবকে করা হয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, কিরেন রিজিজুকে সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।