বাংলাদেশিদের জড়িয়ে ঝাড়খণ্ডে জেএমএমের ওপর তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/09/15/modi_0.jpg)
ঝাড়খণ্ড প্রদেশের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে রীতিমতো তোপ দেগেছেন তিনি। বলেছেন, জেএমএমের লোক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনু্প্রবেশকারীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সমর্থন দিয়ে আসছে জেএমএম জোট। অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগণা ও কোলহান অঞ্চলের জন্য উল্লেখযোগ্য হুমকি দাবি করে তিনি বলেছেন, রাজ্যের জনসংখ্যায় পরিবর্তন ও উপজাতীয় জনগোষ্ঠী হ্রাস ঘটাচ্ছে এই অনুপ্রবেশকারীরা।
আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের গোপাল ময়দানে বিজেপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা সাঁওতাল পরগণা এবং কোলহান অঞ্চলের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এই অঞ্চলের জনসংখ্যায় দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। উপজাতীয় জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।’ তিনি বলেন, জানেন এটা কীভাবে হয়েছে? এটা হয়েছে এজন্য যে, জেএমএমের মধ্যে কংগ্রেসের ভূত ঢুকেছে। যখন কোনো দলের মধ্যে কংগ্রেসের ভূত ঢোকে, তখন উদরপূর্তি সেই দলের একমাত্র এজেন্ডা হয়ে যায়।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/09/15/modi_in.jpg)
ভারতীয় এই প্রধানমন্ত্রী জেএমএম, আরজেডি এবং কংগ্রেসকে ঝাড়খণ্ডের সবচেয়ে বড় শত্রু’ বলে দাবি করেন। এসব দল ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত এবং ভোট ব্যাংকের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা পঞ্চায়েতগুলোতে অবস্থান নিচ্ছে, জমি দখল করছে এবং নৃশংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের প্রত্যেক বাসিন্দাই অনিরাপদ বোধ করছেন। তার অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করছে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীরা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ওপর প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।