পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ফ্রান্স, ভোটগ্রহণ কাল
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/06/29/phraans.jpg)
নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেয়। কারণ, আগামী ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে কোনো নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। অথচ, ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল রোববার (৩০ জুন) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের ভোটের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৭ জুলাই।
সিএনএন গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে জানান, ফ্রান্সের এই আগাম জাতীয় নির্বাচন দেশ ও ইউরোপের বাকি অংশের জন্য কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ওই প্রতিবেদন বলছে, দেশটি ফলপ্রসূ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্স একটি কট্টরপন্থি বাম বা কট্টরপন্থি ডান সরকার পেতে পারে। আর যদি তা না হয়, তবে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। প্যারিসকে বাধাগ্রস্ত করে দেশ-বিদেশে সমস্যা বাড়তে পারে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/06/29/france_in.jpg 687w)
ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসন আছে। প্রতিটি নির্বাচনি জেলার জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। বিদায়ী সরকারে ম্যাক্রোঁর জোটের আসন ছিল মাত্র আড়ইশটি। ফলে আইন পাসের জন্য অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হতো ম্যাক্রোঁদের।
এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া হলো—যদি কোনো প্রার্থী প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ ভোটে জয়লাভ করেন, তাহলে তিনি আসনটি জিতবেন। এর কম হলে দ্বিতীয় ধাপে গড়ায় ভোট। সেক্ষেত্রেও আছে নিয়ম। নিবন্ধিত ভোটারদের ১২ দশমিক পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়তে পারবেন ওই প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়, তবে কখনও কখনও তিন বা চার প্রার্থীর মধ্যেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে মিত্রদের জয়ের সুযোগ করে দিতে অনেক প্রার্থী নিজেই সরে দাঁড়ান।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/06/29/france_in2.jpg 687w)
এদিকে ডয়চে ভেলে তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, ফ্রান্সের উত্তর আটলান্টিক দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট পিয়েরে এবং মিকেলনের ভোটাররা মূল ভূখণ্ডের একদিন আগে আজ শনিবার ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়া শুরু করেন। স্থানীয় একটি গণমাধ্যম বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটার এখানে ভোট দিতে পারবেন।