রিপাবলিকান সম্মেলনে ট্রাম্পের পাশে সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বীরা
দলকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজন করা রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এ ক্ষেত্রে দলের প্রার্থিতার দৌড়ে ট্রাম্পের যে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ছিলেন, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন তারই সমর্থনে। খবর এএফপির।
তিনজন সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী কনভেনশনে মঞ্চে এসে আলাদাভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন। এমনকি এর মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। হ্যালি বলেন, জাতিকে রক্ষায় একটি ‘ঐক্যবদ্ধ রিপাবলিকান পার্টি’ অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, ডান কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল করতালির মধ্যে উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে হাত নাড়েন, কারো কারো সঙ্গে হাত মেলান এবং সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। গত শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনি সমাবেশে আততায়ীর হামলায় ট্রাম্পের কান চিড়ে একটি গুলি বেরিয়ে যায়।
আগের রাতে ট্রাম্পকেকে বেশ আবেগতাড়িত দেখা গেলেও গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে তাকে বেশ নির্ভার দেখা যায়। কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার নতুন রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন।
চার দিনব্যাপী রিপাবলিকান দলের এই সম্মেলনে ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেশ সমাদর করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে। নভেম্বরের আসন্ন নির্বাচনে তিনি ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ট্রাম্পের সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বি ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি সান্টিস ও ব্যবসায়ী বিবেক রামাস্বামী সম্মেলনে দুই হাজার ৪০০ ডেলিগেটের উদ্দেশে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র প্রার্থী, যিনি সত্যিকারভাবে এই দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন। আর এক্ষেত্রে কেবল ফাঁকা বুলি নয়, কাজের মাধ্যমে তা অর্জিত হবে।’
নিকি হ্যালি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি অধিকাংশ সময়ে প্রেসিডেন্টর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কিছু অসম্মতি সত্ত্বেও আমরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্মতও হয়েছি।’
প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে তৈরি এই জোট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাহায্য করবে বাইডেনকে পরাস্ত করতে, এমনটাই মনে করছেন রিপাবলিকান দলের সমর্থকরা।