ফ্লোরিডা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মিল্টনের আঘাত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/10/10/milttn-ghuurnnijhrr.jpg)
প্রচণ্ড বাতাস, ঝুঁকিপূর্ণ জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টি নিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে আঘাত হেনেছে দানবীয় ঘূর্ণিঝড় ’মিল্টন’। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পর্যদুস্ত ফ্লোরিডাবাসীর জন্য রাতটি হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ও ভয়ানক অভিজ্ঞতার। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) তাদের রাত সাড়ে ৮টার বুলেটিনে জানায়, ক্যাটাগরি-৩ মাত্রার ‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ ঘূর্ণিঝড় মিল্টন রাজ্যটির পশ্চিম উপকূলের জনবহুল এলাকা সিয়েস্তা-কিতে আঘাত হেনেছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত আনার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি-স্যান্টিস বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি এসে পড়েছে। এখন সবার শান্ত থাকার সময়।’
এনএইচসি আরও জানায়, জীবনের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ঢেউ, প্রচণ্ড বাতাস আর আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে ফ্লোরিডার উপকূলজুড়ে।
সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে ফ্লোরিডার ঘনবসতিপূর্ণ ও উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে বিশৃঙ্খলা ও প্রাণহানির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিল্টন তার গতিপথ ধরে চলার সময় আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী এলাকাসহ ট্যুরিস্ট হাব হিসেবে পরিচিত অরলান্ডো শহরে তাণ্ডব চালিয়ে যাবে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/10/10/ghuurnnijhrr-milttn-inaar.jpg)
স্থলভাগে পৌঁছানোর পর মিল্টনের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) এবং এর ফলে চার মিটার (১৩ ফুট) জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হচ্ছে। ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে প্রচণ্ড বাতাস বইছে এবং অবিরাম বৃষ্টিতে আতঙ্কিত মানুষ যে যেখানে পারে আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করছিল। সিয়েস্তা-কির পাশের শহর সারাসোটায় অনেক ভবনের জানালার কাঁচ বাতাসে ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়েছে। গাছপালা প্রচণ্ড বাতাসে নুয়ে পড়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
গভর্নর ডি-স্যান্টিস লোকজনকে রাস্তায় না থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
টাম্পা ও সারাসোটা বিমানবন্দর পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।