যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন : যে উপায়ে ২৭০ ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর ৫৩৮ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টি প্রয়োজন। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিটির জন্য জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বরাদ্দ রয়েছে। কিছু অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা অতীতের ধারাবাহিকতায় একটি নির্দিষ্ট দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন, তবে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা ‘সুইং স্টেটের’ ভোটাররা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে থাকেন, যা নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
এই নির্বাচনে সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য রয়েছে মোট ৯৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। সেগুলো হলো—পেনসিলভানিয়া (১৯), জর্জিয়া (১৬), উত্তর ক্যারোলাইনা (১৬), মিশিগান (১৫), অ্যারিজোনা (১১), উইসকনসিন (১০) ও নেভাদা (৬)।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে জিততে পারেন?
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প টেক্সাস (৪০), ফ্লোরিডা (৩০) ও ওহিওসহ (১৭) সারা দেশের ২৪টি অঙ্গরাজ্য থেকে কমপক্ষে ২১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে পেতে ট্রাম্পের ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটের ৯৩টি থেকে কমপক্ষে ৫১টি প্রয়োজন। তার জন্য সবচেয়ে সহজ পথ হলো পেনসিলভানিয়া (১৯), জর্জিয়া (১৬) ও উত্তর ক্যারোলাইনা (১৬) অঙ্গরাজ্যে জয়লাভ করে করে ৫১টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করা। এতে রিপাবলিকান এই প্রার্থীর ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট জিতে প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব হবে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে এই তিনটি অঙ্গরাজ্যেই কমলা থেকে এগিয়ে রয়েছেন।
যদি রিপাবলিকানরা এই তিনটি অঙ্গরাজ্যের সবকটিতেই জয়ী না হয়, তাহলে তাদের প্রেসিডেন্ট পদ নিশ্চিত করতে সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটের মধ্যে অন্তত চারটিতে জিততে হবে। তবে ট্রাম্পের জন্য ম্যাজিক ফিগার ২৭০ অর্জনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো—টেক্সাস-৪০, মিসৌরি-১০, কেনটাকি-৮, লুইসিয়ানা-৮, আলাবামা-৯, দক্ষিণ ক্যারোলাইনা-৯, ওকলাহোমা-৭, আরকানসাস-৬, ওহিও-১৭, আইওয়া-৬, কানসাস-৬, আইডাহো-৪, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া-৪, মন্টানা-৪, ফ্লোরিডা-৩০, ইন্ডিয়ানা-১১, টেনেসি-১১, মিসিসিপি-৬, উটাহ-৬, নেব্রাস্কা-৫, দক্ষিণ ডাকোটা-৩, ওয়াইওমিং-৩, আলাস্কা-৩ ও উত্তর ডাকোটা-৩।