বছরের মাঝামাঝিতে ইরানে হামলা করতে পারে ইসরায়েল
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েল হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন একটি হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য পিছিয়ে দিতে পারে, তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং বড় ধরনের সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের গোয়েন্দা বিভাগ জানুয়ারিতে একটি বিশদ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইরানের ফোর্দো ও নাটাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েল মনে করছে গত অক্টোবরে ইরানে চালানো তাদের বিমান হামলার ফলে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা ইসরায়েলের জন্য পরবর্তী হামলার সুযোগ তৈরি করেছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজেস বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে দেবেন না।
ওয়াশিংটন পোস্টকে হিউজেস বলেছেন, "তিনি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চান, তবে ইরান যদি আলোচনায় আগ্রহী না হয়, তাহলে তিনি চিরকাল অপেক্ষা করবেন না"।
ট্রাম্প সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সবাই মনে করছে ইসরায়েল আমাদের অনুমোদন নিয়ে ইরানে হামলা চালাবে। আমি চাই না এটি ঘটুক। আমি চাই আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান আসুক।"
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি করেছিল, যা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমিত করেছিল। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ইরান বর্তমানে পুনরায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা (আইএইএ)।
এদিকে, ইরান, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সম্প্রতি জেনেভায় পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার উপায় খুঁজতে বৈঠক করেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক