প্লেনে করে প্রতিদিন কর্মস্থলে যান এই নারী!
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/14/maalyyeshiyyaa_chbi.jpg)
যে শহরে চাকরি করেন সেই শহরে না থেকে প্রতিদিন কেন প্লেনে করে তার কর্মস্থলে যান মালয়েশিয়ার এক নারী তা খুলে বলেছেন গণমাধ্যমের কাছে। রাচেল কাউর নামের ওই নারী থাকেন পেনাংয়ে। সপ্তাহের সোমবার থেকে শুক্রবার প্রতিদিন ভোর ৫টায় তিনি ৪০ মিনিটের জন্য আকাশপথে রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৌঁছাতে বাড়ি থেকে বের হন। আর সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে তিনি আবার তার বাড়িতে ফিরে আসেন।
পেশায় এয়ার এশিয়ার একজন কর্মী রাচেল কাউর তার দৈনন্দিন রুটিন সম্পর্কে জানাতে ব্রিটেন ভিত্তিক গণমাধ্যম ইউনিল্যাডকে বলেন, ‘সাধারণত আমি ভোররাত ৪টা থেকে সোয়া ৪টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। এরপর গোসল শেষে জামাকাপড় পড়ে বাড়ি থেকে ৫টার মধ্যে বের হয়ে যাই।’
রাচেল কাউর আরও বলেন, ‘এরপর ধীরে গাড়ি চালিয়ে আমি এয়ারপোর্টে পৌঁছাই ফ্লাইট ধরতে। আমার বোর্ডিং টাইম থাকে ৫টা ৫৫ মিনিটে, তাই আমার গাড়ি পার্ক করতে, জুতো পরে একটু হেঁটে নিতে এবং প্লেনে ওঠে নিজের সিটে বসতে বেশ খানিকটা সময় পাই আমি।’
পেনাং থেকে কুয়ালালামপুর পৌঁছাতে প্লেনে সময় লাগে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। আর জন্য এয়ারপোর্ট থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথের দূরত্বে থাকা রাচেলের অফিসে পৌঁছাতে পৌনে ৮টার বেশি বাজে না।
তবে কেন রাচেল কর্মস্থল থেকে দূরে একটি আলাদা শহরে বাস করে প্রতিদিন প্লেনে অফিস করছেন তা জানতে চাইলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাতে অবাকই হতে হয়। রাচেল জানান, তার এই যাতায়াত টাকাপয়সা বাঁচানোর পাশাপাশি তাকে তার বাচ্চাদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে সাহায্য করছে। প্লেন ভ্রমণ ও এয়ারপোর্ট থেকে হেঁটে অফিসে পৌঁছাতে তিনি কুয়ালালামপুরের দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে পারছেন বলেও অনেক খুশি।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/14/maalyyeshiyyaa_inaar.jpg)
রাচেল জানান, তার প্লেনযাত্রায় খরচ হচ্ছে, তবে এয়ার এশিয়ার কর্মী হিসেবে তিনি ভাড়ায় ছাড় পাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কুয়ালালামপুরের বাড়িভাড়া পেনাংয়ের চেয়ে অনেক বেশি, তাই পেনাংয়ে থাকার কারণে তার খরচ কম হচ্ছে।
দুই সন্তানের মা রাচেল জানান, পেনাংয়ে এক হাজার রিঙ্গিত মর্টগেজে তিনি থাকতে পারছেন। অন্যদিকে রাজধানীতে থাকতে হলে তাকে দেড় হাজার রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) খরচ করতে হতো, যা প্রায় ৩৩৬ ডলারের সমান।
রাচেল বলেন, ‘আমি প্রতিদিন বাড়িতে যেতে পারছি, আমার দুই সন্তানকে দেখাশোনা করার, তাদের হোমওয়ার্কগুলো সমাধানে সাহায্য করতে পারছি।’
বাড়িতে থাকা ১২ বছরের ছেলে ও ১১ বছরের মেয়ের কথা জানিয়ে রাচেল বলেন, ‘বাচ্চারাও চায়, তাদের মা পাশে থাকুক।’
রাচেল কাউর আরও জানান, ২০২৩ সালে একজন টিকটকারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি প্লেনে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই টিকটকার বলেছিলেন, নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে থাকার যে খরচ তা পুষিয়ে নিতে, তিনি তার বাড়ি থেকে ট্যাক্সি বা প্লেনে করে গিয়ে ইন্টার্নশিপ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।