এবার ভারতের আকাশসীমায় পাকিস্তানের বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার ঠিক ছয় দিনের মাথায় নয়াদিল্লিও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। পাকিস্তানের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত সব বিমানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। খবর এনডিটিভির।
উভয় দেশই এখন স্থানীয় সময় আগামী ২৩ মে রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত একে অপরের বিমান সংস্থাগুলোকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পরবর্তীতে পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এয়ারম্যানদের জন্য জারি করা এক বিশেষ নোটিশে (নোটাম) স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানের নিবন্ধিত কোনো বিমান এবং পাকিস্তান বিমান সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত বা লিজ নেওয়া কোনো বিমান ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় সামরিক বিমানও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এমনিতেই সব সময় চাপা উত্তেজনা বিরাজ কররে। ভারতের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কায় পাকিস্তান থেকে আগত অনেক বিমান আগে থেকেই ভারতীয় আকাশসীমা এড়িয়ে চলছিল। তবে ভারতের এই আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞার পর, পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলোর জন্য ভারতীয় আকাশসীমা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে ইসলামাবাদ জড়িত বলে অভিযোগ করে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ তা নাকচ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় এই হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।

এ ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভিসা বাতিল এবং সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং সিমলা চুক্তির মতো সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তারা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গিয়ে হলেও সন্ত্রাসী এবং তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের আকাশসীমা বন্ধের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।