বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ইনাহ কানাবারো লুকাস মারা গেছেন। গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) ১১৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রাজিলের এই ক্যাথলিক সন্ন্যাসী। দীর্ঘায়ু পর্যবেক্ষণ করে এমন দুটি সংস্থা কানাবারো সম্পর্কে এসব তথ্য জানিয়েছে।
কানাবারোর প্রয়াণের পর বিশ্বের প্রবীণতম জীবিত ব্যক্তির স্বীকৃতি এখন ইংল্যান্ডের সারে অঞ্চলের বাসিন্দা এথেল ক্যাটারহ্যামের। তাঁর বর্তমান বয়স ১১৫ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের জেরন্টোলজিক্যাল রিসার্চ গ্রুপ (জিআরজি) এবং লংজেভিকোয়েস্টের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইনাহ কানাবারোর জন্ম ১৯০৮ সালের ৮ জুন। এর আগে বিশ্বের দীর্ঘজীবী ব্যক্তি ছিলেন জাপানের তোমিকো ইতোকা, যিনি ১১৬ বছর বয়সে গত জানুয়ারিতে মারা যান।
‘দ্য কংগ্রেগেশন অব টেরেসিয়ান সিস্টার্স অব ব্রাজিল’ বুধবার কানাবারোর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে এক বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা জীবনের প্রতি কানাবারোর ‘উৎসর্গ ও ভক্তি’র জন্য তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
লংজেভিকোয়েস্ট তাদের শোকবার্তায় জানায়, কানাবারো ছোটবেলায় খুবই রোগা ছিলেন এবং তিনি আদৌ বাঁচবেন কিনা, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে (১৯৩৪ সালে) ২৬ বছর বয়সে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেছিলেন ইনাহ কানাবারো।
নিজের দীর্ঘ জীবন সম্পর্কে তিনি একবার বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরই জীবনের গোপন রহস্য। সবকিছুর রহস্য তিনিই।’
১১০তম জন্মদিনে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন কানাবারো। পোপ ফ্রান্সিস গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান।
কানাবারো যদিও দাবি করতেন তাঁর জন্মতারিখ ১৯০৮ সালের ২৭ মে, তবে জিআরজি পরিচালক রবার্ট ইয়াং জানান, তাঁর নথিভুক্ত জন্মতারিখ হলো ১৯০৮ সালের ৮ জুন।
লংজেভিকোয়েস্টের তথ্য অনুযায়ী, ইনাহ কানাবারো ইতিহাসে নথিভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫তম দীর্ঘজীবী ব্যক্তি। ফ্রান্সের লুসিল র্যান্ডনের পর তিনিই ছিলেন দ্বিতীয় বয়স্কতম সন্ন্যাসী। লুসিল ২০২৩ সালে ১১৮ বছর বয়সে মারা যান।