সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে ৩০০ এলাকায় যুদ্ধ মহড়ার সিদ্ধান্ত ভারতের

ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে যখন চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, তখন ভারতীয় বিমান বাহিনী গভীর রাতে রাজস্থান সেক্টরে এক বৃহৎ পরিসরের সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা ভারতের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি অংশ হিসেবে দেখছেন। খবর এনডিটিভির।
গত মাসে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বিমান সেনাদের জন্য জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে (নোটেম) এই মহড়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার (৭ মে) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এই মহড়া শুরু হবে এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলবে। এই সময়কালে, সীমান্ত সংলগ্ন বিমানবন্দরগুলোতে বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।
অন্যদিকে, ভারতজুড়ে যেকোনো প্রতিকূল সামরিক পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য বেসামরিক প্রস্তুতি জোরদার করতে রাজ্যগুলোতে ‘বেসামরিক প্রতিরক্ষা’ মহড়াও একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর এই ধরনের সমন্বিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা মহড়া আর দেখা যায়নি। দিল্লিসহ প্রায় ৩০০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই মহড়া চলবে। ‘বেসামরিক প্রতিরক্ষা’ জেলার আওতায় মূলত সামরিক ঘাঁটি, তেল শোধনাগার এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো কৌশলগত স্থাপনাগুলো এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপের কয়েক ঘণ্টা পূর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন, যা দিল্লির সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে।
পেহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে পেহেলগামের সন্ত্রাসী ঘটনার সশস্ত্র প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।