লস অ্যাঞ্জেলেসে বাড়নো হয়েছে কারফিউয়ের পরিধি, বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

লস অ্যাঞ্জেলসের ডাউনটাউনে দ্বিতীয় রাতের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। অভিবাসন ও সীমান্তরক্ষা সংস্থা (আইসিই)-এর অভিযান ও সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে ছয় দিন ধরে চলা বিক্ষোভের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ কেবল লস অ্যাঞ্জেলসেই সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক, সিয়াটল, শিকাগো, অস্টিন, লাস ভেগাস এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন শহরে। খবর সিএনএনের।
ওয়াশিংটনের স্পোকান শহরে স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার আইসিই-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্তত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শহরের পুলিশপ্রধান কেভিন হল জানান, “প্রধানত ছোট অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেবল ইনার্ট (অ-বিস্ফোরক ও বিষমুক্ত) ধোঁয়া ছাড়া টিয়ার গ্যাস বা রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়নি।”

সিএনএন-এর স্থানীয় সহযোগী কেএইচকিউ-এর ভিডিও অনুযায়ী, কারফিউ শুরুর আগে পুলিশ গ্যাস মাস্ক পরে বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে ধোঁয়া ছোড়ে।
স্পোকানের মেয়র লিসা ব্রাউন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ও নির্দিষ্ট এলাকায় কারফিউ জারির ঘোষণা দেন।
স্পোকানের বিক্ষোভকারীরা আইসিই-এর ফ্যাসিলিটির সামনে অবস্থান করে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা অভিযান ও সম্ভাব্য নির্বাসনের (ডিপোর্টেশন) বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান কমান্ড জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলস অঞ্চলে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত ৭০০ মেরিন সদস্যদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মোতায়েন করা হবে।
অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়া সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের মেরিন ও ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপের আইনি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) একটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া লাস ভেগাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ফেডারেল কোর্টহাউজের সামনে চলমান বিক্ষোভকে বেআইনি জমায়েত ঘোষণা করেছে লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ।

এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, "বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।"
সিয়াটলে এখনও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আইসিই-বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে এবং সংস্থার সাম্প্রতিক অভিবাসন অভিযানের নিন্দা করে প্ল্যাকার্ড ধরে আছে।