ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ ও খাতাম আল-আম্বিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর-জেনারেল আলী শাদেমানিকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড তাদের পূর্বসূরী গোলাম আলী রশিদকে হত্যার কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটল। খবর দ্য জেরুজালেম পোস্ট।

আইডিএফ জানিয়েছে, শাদেমানির পদমর্যাদা তাকে ইরানের ‘যুদ্ধকালীন চিফ অফ স্টাফ, সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির নিকটতম ব্যক্তিত্ব’ করে তুলেছে।

খাতাম আল-আম্বিয়া ‘যুদ্ধ পরিচালনা ও ইরানের আগ্নেয়াস্ত্র পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়ে থাকে। মেজর-জেনারেল আলী শাদেমানি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরানের অপারেশনাল পরিকল্পনাগুলোকে সরাসরি প্রভাবিত করেছিলেন বলেও জানায় আইডিএফ।

আইডিএফ-এর দাবি, বর্তমান ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রথম দিনে কয়েক ডজন ইরানি কমান্ডারকে হত্যা করার পরপরই শাদেমানিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দ্বারা এভাবে চিহ্নিত হওয়ার ভয় এড়াতে ইরান ইতিমধ্যেই শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছে।

মোসাদ ও আইডিএফ গোয়েন্দারা গত শুক্রবার (১৩ জুন) যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে শীর্ষ ইরানি কমান্ডারদের গতিবিধি ট্র্যাক করার জন্য এই কৌশল ব্যবহার করেছে। ইরানের সতর্কতা সত্ত্বেও আইডিএফ ও মোসাদের কাছে পর্যাপ্ত কৌশল রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

সপ্তাহান্তে ইরানের নতুন খাতাম আল-আম্বিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার নিযুক্ত হওয়ার আগে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর ঘনিষ্ঠ শাদেমানি সব জরুরি জাতীয় প্রতিরক্ষা অভিযানের উপ-প্রধান ও  সামরিক অভিযানের প্রধান ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা করা হয় ইসরায়েলে। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।