বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ১ লাখ টন চাল কিনছে পাকিস্তান
কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক অস্থিতিশীল ছিল। তবে, ২০২৪ সালের আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে, উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তান (টিসিপি) বাংলাদেশে সরবরাহ করতে এক লাখ টন চাল কেনার জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনে সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরপত্রে এক লাখ টন লম্বা দানার সাদা চাল (ইরি-৬) কেনার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। এই চাল করাচি বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দামের প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর তা ২১ কার্যদিবসের জন্য বৈধ থাকবে। চুক্তি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে চাল সরবরাহের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। চাল অবশ্যই পাকিস্তানে উৎপন্ন সর্বশেষ ফসলের হতে হবে ও মানুষের খাওয়ার উপযোগী হতে হবে। এর মধ্যে কোনো খারাপ গন্ধ, ছত্রাক, বিষাক্ত আগাছার বীজ বা পোকামাকড় থাকা চলবে না।
রয়টার্সের বরাতে ডন জানিয়েছে, ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানি চালকে বাংলাদেশের আমদানি সরবরাহ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন এই দরপত্রকে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ সম্প্রতি যে চাল কিনেছে, তার কিছু অংশে ভারতের উৎপাদিত চাল ব্যবহৃত হতে পারে।
স্থানীয় দাম কমাতে বাংলাদেশ সরকারও গত কয়েক সপ্তাহে আমদানি দরপত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আরেকটি চালের দরপত্র ঘোষণা করেছে।
এর আগে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ গত ফেব্রুয়ারিতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করে সরাসরি সরকার টু সরকার বাণিজ্য শুরু করেছে। গত মাসে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনে পাকিস্তান চীন ও মধ্য এশীয় রাজ্যগুলোসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে ঢাকার বাণিজ্য সহজভাবে করতে করাচি বন্দরকে প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাবও দিয়েছিল।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক