মঙ্গলে সন্তানের জন্ম দিতে প্রস্তুত লিউ
যে লালগ্রহ মঙ্গলে এখনো পড়েনি মানুষের পদচিহ্ন, সেখানেই সন্তানের জন্ম দিয়ে রেকর্ড গড়তে চান নীলগ্রহ পৃথিবীর নারী ম্যাগি লিউ।
২৪ বছরের লিউ বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডিপ্রার্থী। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষের স্থায়ী বসবাসের লক্ষ্যে গড়ে তোলা ‘মার্স-ওয়ান’ প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত ৬০০ মানুষের মধ্যে তিনি একজন।
আগামী মাসেই মঙ্গলে ওয়ানওয়ে ভ্রমণের জন্য ৪০ জনের নাম ঘোষণা করা হবে। এই নির্বাচিতদের লালগ্রহে ভ্রমণের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে ‘মার্স-ওয়ান’।
মঙ্গলে স্থায়ী বসবাসের আয়োজন নিয়ে যখন ব্যস্ত পৃথিবী বিজ্ঞানীরা, লিউ তখন মশগুল লালগ্রহটিতে পৃথিবীর উপনিবেশ স্থাপনের পরিকল্পনায়। মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘উপনিবেশ স্থাপন করতে হলে সেখানে শিশুর জন্ম দিতে হবে। যদিও এর আগে কম মধ্যাকর্ষণে কেউ সন্তান জন্ম দেয়নি। তবে আমার মনে হয় মঙ্গলে সন্তান জন্ম দেওয়া একটি মজার বিষয়ই হবে।’
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর এই পরিচিত পরিবেশে এত বছরের অভ্যস্ততার বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানো এবং সন্তান জন্ম দেওয়া হবে কঠিনতম কাজের একটি।
এমনিতেই সৌরজগতে পৃথিবীর প্রতিবেশী এই গ্রহের পরিবেশ মানুষের বসবাসের মোটেই অনুকূলে নয়। সেখানে বসবাস করতে গেলে অনাহার, পানিশূন্যতা আর প্রাণঘাতী তেজস্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হবে পৃথিবীর মানুষদের। এর সাথে রাতের বেলায় ফারেনহাইট স্কেলে মাইনাস ৮১ ডিগ্রি তাপমাত্রা তো আছেই।
কিন্তু লিউ এসব বিষয় নিয়ে মোটেই ভাবছেন না। যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েড কভেন্ট্রি টেলিগ্রাফকে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, পৃথিবীর জীবনযাত্রা ও সম্পর্কের চাইতে মঙ্গলের জীবন খুব একটা আলাদা হবে না।’
‘মার্স ওয়ান’ প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু চললে মঙ্গলে মনুষ্যবিহীন যান পাঠানো শুরু হবে ২০১৮ সাল থেকে। ২০২৪ সালে প্রথম চারজন মানুষকে পাঠানো হবে, বাকি চারজনকে আরো দুই বছর পরে।