আল মাহমুদকে নিয়ে নাগরিক শোকসভা
বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিদের মধ্যে একজন আল মাহমুদ। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন কবি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি।
সদ্য প্রয়াত এই কবিকে নিয়ে ‘আল মাহমুদ পরিষদ’ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলানায়তনে ‘আল মাহমুদ নাগরিক শোকসভা’র আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ শাহ কোরেশী।
আল মাহমুদকে স্মরণ করে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, “বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন আল মাহমুদ। তিনি ‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’ ও ‘সোনালী কাবিন’ তিনটি কাব্যগ্রন্থ লিখে বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। জীবনবোধকে ফুটিয়ে তোলার অসামান্য ক্ষমতা ছিল তাঁর। কাজের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে বেঁচে থাকবেন তিনি।”
শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী বলেন, ‘কবি আল মাহমুদ ছিলেন প্রাণবন্ত। তাঁকে জানতে হলে ১৩ খণ্ডে প্রকাশিত আল মাহমুদ রচনাবলি পড়তে হবে।’
জীবনানন্দ দাশের পর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি ছিলেন আল মাহমুদ, এমনটিই জানিয়ে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘আল মাহমুদ তাঁর সৃষ্টির মাঝে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। মনের অজান্তে আল মাহমুদ যদি আপনাদের কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।’
আসাদ চৌধুরী আরো বলেন, ‘আজকের নাগরিক শোকসভায় আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আল মাহমুদের জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
অন্যদিকে কবি জাকির আবু জাফর বলেন, ‘এখনো বিশ্বাস হয় না আল মাহমুদ আমাদের মাঝে নেই। বাংলার শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন তিনি। তাঁর পাঠক তাঁকে মনে রাখবেন যুগ যুগ ধরে।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ, কবি আল মুজাহিদী, আবদুল হাই শিকদার, শাহীন রেজা, সীমা ইসলাম, জাহাঙ্গীর ফিরোজ প্রমুখ। আল মাহমুদকে নিয়ে লেখা কবিতাও পাঠ করেন তাঁরা।
আল মাহমুদকে নিয়ে নাগরিক শোকসভার আয়োজনের আহ্বায়ক ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী ও সমন্বয়ক ছিলেন কবি জাকির আবু জাফর। উপস্থাপনা করেন জাকির আবু জাফর ও আবিদ আজম।