যাত্রাবাড়ীতে দিনভর সংঘর্ষ, ইটের জবাবে রাবার বুলেট
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন পুলিশ। অপরদিক নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে ইট-পাথর ছুড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে উভয় পক্ষের আহতরা যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়ার আশেপাশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে। গুরুতর আহতরা যাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার আন্দোলনরতদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা। পরে এই উত্তপ্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকাগুলোতে। আজ দিনভর যাত্রাবাড়ী থেকে শনিআখড়া পর্যন্ত প্রধান সড়কে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। মূল সংঘর্ষ ছিল কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সড়কে। এতে এলাকা দুটির প্রধান সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দিনভর শনিরআখড়া থেকে কাজলা পর্যন্ত ছিল শিক্ষার্থীদের অবস্থান। অপরদিক যাত্রবাড়ী ও এর আশপাশের অবস্থান নিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সরেজমিনে ঘুরে আরও দেখা যায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়রা যোগ দিয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। আবার অনেকেই শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানিসহ খাবার দিয়ে সহায়তা করছেন।
কাজলায় একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীর বলেন, ভয় দেখিয়ে আমাদের এই আন্দোলন থামানো যাবে না। দাবি একটাই, আমরা চাই মেধা এগিয়ে যাক, কোটা নয়। কোটা দিয়ে মেধাকে মারবেন না। তাই অভিলম্বে কোটার সংস্কার করতে হবে।
আজ বিকেল ৫টার দিকে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যাত্রাবাড়ী এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই পরিদর্শনকালেও সংঘর্ষ চলছিল। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবিপ্রধান। তিনি বলেন, আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা আছে। তবে আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি, এটা দুর্বলতা নয়।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ধৈর্যকে যারা দুর্বলতা মনে করছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমি অনুরোধ করছি আপনারা ঘরে ফিরে যান।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে মাদরাসার ছাত্র, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে মন্তব্য করে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এরা আবার আমাদের পুলিশের গায়ে হাত দিচ্ছে, ভাঙচুর করছে। আমরা কাউকে ছাড় দেবো না।