নীলফামারীতে আগাম আলু তোলার উৎসব
দেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা। হেমন্তের নবান্নের আমেজে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আলু উত্তোলনের উৎসব। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর আলুতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা ঝুঁকি নিয়ে আগাম জাতের ‘সেভেন’ আলু রোপণ করেছিলেন গত বছরের নাবি মৌসুমের আলুর দরপতনে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। অনুকূল আবহাওয়া পাওয়ায় দিগন্ত ভরা মাঠে আলুর ফলন আশানুরূপ হয়েছে। একজন কৃষক জানান, তার তিন বিঘা জমিতে ৩২ বস্তা আলু উৎপাদন হয়েছে।
বর্তমানে বাজারে এই নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। শীতের শুরুতে মৌসুমের প্রথম আলুর স্বাদের কারণে ভোক্তাদের মধ্যে এর চাহিদা বেড়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার স্বাভাবিকের চেয়ে উৎপাদন বেশি হবে এবং কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বর্তমানে বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি থাকলেও, বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়লে চাহিদা কমে দাম কিছুটা হ্রাস পাবে।
এদিকে, কৃষকরা ফলন ও দাম নিয়ে আশাবাদী হলেও বাজারে চোরাই পথে আলুর প্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন কৃষক সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, চোরাই পথে আসা আলু, বিশেষ করে কারওয়ান বাজারের মতো স্থানগুলোতে, যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশের বাজারে আসতে না পারে। তাদের আশঙ্কা, বিদেশি চোরাই আলু ঢুকলে তারা বর্তমান লাভ থেকে বঞ্চিত হবেন এবং পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।
পূর্বের ক্ষতি কাটিয়ে উঠে আগাম আলু চাষে এবার ভালো লাভবান হবেন—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন নীলফামারীর কৃষকেরা।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক