সেদিন আর বেশি দূরে নয়, আমরা ১০০ কোটি স্পর্শ করব : শাকিব খান
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এবার রায়হান রাফীর পরিচালনায় বড় পর্দায় ঝড় তুলতে আসছে ‘তুফান’। এতে মূল চরিত্রে থাকছেন ঢালিউড খান শাকিব খান।
বাংলাদেশ ও ভারতের তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই, চরকি ও এসভিএফ ফিল্মস একত্রে এরই মধ্যে বড় পর্দার দুটি সিনেমার নাম ঘোষণা করেছে।
গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই ঘোষণা দেওয়া হয় ‘তুফান’-এর। আর ৯ ডিসেম্বর ঘোষণা দেওয়া হয় রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘দম’ সিনেমার। যেই সিনেমার মূল চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
‘তুফান’ সিনেমার ঘোষণার দিন সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খান বলেন, ‘আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশি সিনেমার সম্ভাবনা অপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও বড় একটা বাজার আছে। সারা বিশ্বে ৩০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী রয়েছেন, তাদের শুধু ভালো মানের সিনেমা উপহার দিতে হবে। তিনটা বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যখন এক হয় তখন সম্ভাবনাটা আরও বড় হয়। বাকিটা সিনেমাপ্রেমীরাই ঠিক করে নেবেন।’
শাকিব আরও বলেন, ‘বলিউড ও সাউথ মিলে সিনেমা বানিয়ে ব্যবসা করছে এবং সফল হচ্ছে। গত কোরবানি ঈদে সুড়ঙ্গ ও প্রিয়তমা শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও ব্যবসা করেছে। আমি অবাক হয়েছি ইতালির মতো একটি দেশে প্রিয়তমা নিয়ে কথা হয়েছে যে এটা কি বাংলাদেশের সিনেমা? সিনেমাগুলো চলেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ভারতে। এবার যৌথভাবে সিনেমা বানানো হচ্ছে। এবার হয়তো সময় চলে এসেছে, আমরা ফোন করে জিজ্ঞেস করব ভাই, অস্ট্রেলিয়ার কী অবস্থা, আমেরিকার কী অবস্থা? সেদিন আর বেশি দূরে নয়, আমরা ১০০ কোটি স্পর্শ করব। গ্রস সেল, নেট সেল ১০০ কোটি। আমার মনে হয় অচিরেই আমাদের কাছে মনে হবে ১০০ কোটিও কম সেল বাংলা সিনেমার জন্য।’
পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘আমি খুবই এক্সসাইটেড। কারণ, একসঙ্গে আলফা, এসভিএফ ও চরকি—তিনটা বড় প্রতিষ্ঠান এক সুতায় গেঁথে দুটো সিনেমা বানাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশের একমাত্র সুপারস্টার শাকিব খান, তাঁর সঙ্গে এটা আমার প্রথম সিনেমা। সবচেয়ে বড় তিনটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, একজন সবচেয়ে বড় সুপারস্টার যখন একসঙ্গে হয়, তখন আসলে এই সিনেমা নিয়ে আশা করাই যায়। কেবল তো আমরা কাজ শুরু করলাম। সবার দোয়া চাই। তবে এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, তুফান বাংলা সিনেমার জন্য একটা মাইলফলক হতে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসভিএফ বাংলাদেশে কান্ট্রি হেড সাকিব আর খান, চরকি ও আলফা-আইয়ের কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকরা।