রাজনীতিবিদ হতে চেয়েছিলেন আহমেদ রুবেল, পারেননি বাবার জন্য
বাংলাদেশের অভিনয় অঙ্গনে সাবলীল অভিনয় করে যে কজন অভিনেতা দর্শকের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন, আহমেদ রুবেল তাদের মধ্যে অন্যতম। মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু, এরপর টিভি নাটক এবং পরে চলচ্চিত্রেও অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।
তবে ছোটবেলা থেকে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল না আহমেদ রুবেলের? বরং আহমেদ রুবেল হতে চেয়েছিলেন একজন রাজনীতিবিদ।
২০২২ সালের নভেম্বরে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, আমার বাবা ছিলেন শিক্ষক। তাই তিনি চাইতেন আমি ভালোভাবে পড়ালেখা করি। কিন্তু আমার ভেতরে তখন কাজ করছে অন্যকিছু। ছোটবেলা থেকেই ডানপিটে ছিলাম, মারামারি করতাম সুযোগ পেলেই। একসময় রাজনীতির দিকে ঝুঁকতে শুরু করলাম, যদিও তখনো ম্যাট্রিকের গণ্ডি পার করিনি। আমি রাজনীতিবিদ হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাবার কঠোর নির্দেশ ছিল- পরিবার থেকে এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করা হবে না। তাই অল্প বয়সেই সিদ্ধান্ত নিলাম যে রাজনীতি আর করা যাবে না। তাই কিছু তো একটা করতে হবে। সেই থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়লাম।
শুরুর দিকে নিজের জন্মস্থান গাজীপুরে নাট্যদল গঠন করে অনেককে নিয়ে নাট্যচর্চা শুরু করেন। নাট্যকার সেলিম আল দীনের সহায়তায় গ্রাম থিয়েটার আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন এই অভিনেতা। এরপর পেয়ে বসে অভিনেতা হবার অদম্য বাসনা। গাজীপুরের আঞ্চলিক পরিমণ্ডল থেকে এইচএসসি শেষ করার পর ঢাকায় এসে ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন। শুরু হয় পেশাদারী নাট্যচর্চা শুরুর পাঠ। এখানে এসেই তিনি সেলিম আল দীন, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আফজাল হোসেন, হুমায়ূন ফরিদীর মতো অভিনয় কিংবদন্তীদের সাহচর্য পান এবং নিজেকে তৈরি করতে থাকেন।
বুধবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা।