বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তারকাদের শোক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পুরো দেশবাসী। সেইসাথে শোবিজ তারকারাও। দেশের এমন মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন শোবিজ তারকারা।
দুর্ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে চিত্রনায়ক শাকিব খান লিখেছেন, ‘রাজধানীর উত্তরার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহত সবার প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। মহান আল্লাহ যেন আহতদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন এবং পরিবারগুলোকে এই কঠিন সময় পার করার শক্তি দেন।’
শবনম বুবলী শোক জানিয়ে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আপনি সহায় হোন, এই নিষ্পাপ বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করুন, সকল মা বাবাকে ধৈর্য দান করুন।’
নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে অপু বিশ্বাস লিখেছেন, ‘উত্তরার দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় স্কুল ছুটির ঠিক আগ মুহূর্তে ক্যাম্পাসের একটি ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ভবনটিতে ছোট ছোট শিশুদের ক্লাস হতো। ক্লাস শেষে ছুটির সময়ে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক নিরীহ শিশু ও শিক্ষক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।’
আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে অপু বিশ্বাস আরও লিখেছেন, ‘এরা আমাদেরই সন্তান। আমাদের সবার দায়িত্ব এখন তাদের পাশে দাঁড়ানো। রক্তের প্রয়োজন হতে পারে, আপনার রক্ত একটি প্রাণ বাঁচাতে পারে।’
অভিনেতা আরিফিন শুভ লিখেছেন, ‘আল্লাহ, আমাদের এমন অশ্রুভেজা দিন সহ্য করার তৌফিক দান করুন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা প্রতিটি মানুষের জন্য প্রার্থনা।’
নির্মাতা ও প্রযোজক অনন্য মামুন শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘মর্মান্তিক এই ফাইটার জেড দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি হতাহত সবার জন্য দোয়া করছি এবং তাদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
অভিনেতা রওনক হাসান লিখেছেন, ‘আল্লাহ সহায় হোন। লিংক, কমেন্ট দেখে বুক কেঁপে উঠছে! শিউরে উঠছি! অনুগ্রহ করে দগ্ধ শিশুদের ছবি, ভিডিও পোস্ট করবেন না। সাধ্যমতো সহযোগিতা করুন।’
অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরী লিখেছেন, ‘কেউ দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় করে উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত করবেন না প্লিজ। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসকে কাজ করতে সহায়তা করুন। প্রচুর রক্ত প্রয়োজন। রক্তদানে আগ্রহীরা নিকটস্থ হাসপাতালগুলোয় আসুন। বাচ্চাগুলো সুস্থ ও নিরাপদে তাদের মা-বাবার কোলে ফিরে আসুক, এটাই কাম্য।’
অভিনেতা ও নির্মাতা কচি খন্দকার লিখেছেন, ‘এ রকম ভয়াবহ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। শোক নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি।’
অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ লিখেছেন, ‘আল্লাহ, উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের সবাইকে হেফাজত করুন।’
অভিনেত্রী সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘ওদের ছবি, ভিডিও পোস্ট করা আর লাইভ করা বন্ধ করুন প্লিজ। বাচ্চাদের উদ্ধার আর চিকিৎসা করতে সাহায্য করুন।’
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। দোয়া করছি আহতদের জন্য।’
তাসনিয়া ফারিণ লিখেছেন, ‘মাইলস্টোনের জন্য প্রার্থনা।’
মাহিয়া মাহি লিখেছেন, ‘বাচ্চাগুলোর মধ্যে আমি আমার ফারিশকে দেখতে পাচ্ছি শুধু। আল্লাহ তুমি ওদের কষ্ট দিও না প্লিজ।’
তমা মির্জা লিখেছেন, ‘আল্লাহ দয়া করে নিষ্পাপ বাচ্চাগুলোকে সাহায্য করুন এবং রক্ষা করুন। সকল বাচ্চা, শিক্ষক এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।‘
অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ লিখেছেন, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা করুন।’
সংগীতশিল্পী ইমন চৌধুরী লিখেছেন, ‘এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেল। এই মৃত্যু উপত্যকায় সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার উপায় নেই। শোক জানানোর ভাষা নেই।’
কণ্ঠশিল্পী পড়শি লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে যারা উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এলাকায় আছেন, বিনীত অনুরোধ, অনর্থক ভিড় করবেন না। এটি রেসকিউ কার্যক্রম এবং অ্যাম্বুলেন্সের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করবে। উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করুন।’
অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু লিখেছেন, ‘ইয়া আল্লাহ, তুমি রহম করো।’
সুরকার ও সংগীতশিল্পী লুৎফর হাসান লিখেছেন, ‘ট্রেন্ডি পোস্ট দিতে গিয়ে এআই দিয়ে ছবি বানিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে দূরে থাকুন। কারও হতাহতের খবর আপনার ট্রেন্ড না হোক। ইতিমধ্যে প্রচুর এআই ছবি দেখতে পাচ্ছি, যা খুবই দুঃখজনক।’
সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর লিখেছেন, ‘মাইলস্টোন কলেজ দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসের ওপর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় আমি আতঙ্কিত। আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করুন, সহায় হোন।’
সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর নিজের ফেসবুক পেজে হট নম্বর শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ঢাকার উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহত কারও জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে এই নাম্বারে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার দুপুর ১টার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।