ধনেপাতার উপকারিতা অনেক, অপকারিতা কী
অনেকে যে কোনও তরকারিতে ধনেপাতা না দিলে খাওয়ার মজা পান না। ধনেপাতার ঘ্রাণ অসাধারণ। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নেব ধনেপাতার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে রসুনের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণের কথা বলেছেন ফরাজী ডেন্টাল হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পুষ্টিবিদ নাবিলা বিনতে কবির।
পুষ্টিবিদ নাবিলা বিনতে কবির বলেন, ধনেপাতার পুষ্টিগুণ অনেক। চার গ্রাম ধনেপাতায় ০.৯ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়, যাতে রয়েছে ০.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.১ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.১ গ্রাম ফাইবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও আয়রন। এসব পুষ্টি উপাদানের কারণে ধনেপাতার পুষ্টিগুণ বা স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।
নাবিলা বিনতে কবির বলেন, ধনেপাতা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেহের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে। ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে। ধনেপাতায় প্রচুর পটাসিয়াম আছে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। ধনেপাতার রস অ্যান্টিক্যানসার হিসেবে কাজ করে থাকে।
নাবিলা বিনতে কবির যুক্ত করেন, ধনেপাতা খাবারে যেমন ফ্লেভার বাড়ায়, তেমনই পুষ্টিগুণও বেশি। ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যাঁদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে, তাঁরা যদি তরকারিতে বা ধনেপাতা ভর্তা, অথবা চাটনি হিসেবেও খান, তাতে খাওয়ার রুচি যেমন বাড়বে, তেমনই দেহে রক্তের পরিমাণও বাড়বে। ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, ধনেপাতার এত উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। যেমন ধনেপাতায় কারও কারও অ্যালার্জি হতে পারে। যদি কারও শরীরে অ্যালার্জি দেখা দিয়ে থাকে, তিনি ধনেপাতা এড়িয়ে চলবেন।
ধনেপাতা আমাদের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে থাকে। ধনেপাতায় এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ, অর্থাৎ যেটা আমাদের দেহের জন্য খারাপ, সেটা কমাতে সাহায্য করে।
ধনেপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।