মাথা কেন ঘোরায়, প্রতিকার কী
মাথা ঘোরানো খুব কমন একটি সমস্যা। এ উপসর্গটির অভিজ্ঞতা নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে মাথা ঘোরানোর সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মাথা ঘোরানোর সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. নাজমুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
মাথা ঘোরানো বলতে কী বোঝায় বা এই অনুভূতিটা কখন হয়? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, মাথা ঘোরেনি, এ ধরনের কোনও মানুষই বোধহয় নেই। সবারই জীবনের কোনও না কোনও পর্যায়ে গিয়ে ঘোরে। মাথা ঘোরানোর কারণগুলো যদি আমরা জানতে চাই, তাহলে আমাদের মাথা ঘোরানোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। একটা হচ্ছে সত্যিকারের মাথা ঘোরানো। সে দেখে যে তার চারপাশের জিনিসগুলো ঘুরে যাচ্ছে। অথবা সে নিজেই ঘুরে যাচ্ছে, সাথে বমি থাকে, মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। এ ধরনের ফিলিংস থাকে। এক, ট্রু ভারটাইগো। দুই, ফলস ভারটাইগো। একটা হচ্ছে মস্তিষ্কের কারণে, আরেকটা কানের বিভিন্ন রোগে। এ দুটি কারণ ছাড়া ট্রু ভারটাইগো হতে পারে না।
ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, আরেকটা কারণ হচ্ছে সিওডোভারটাইগো। সিওডোভারটাইগো হচ্ছে, রোগী নিজে এক ধরনের ইমব্যালেন্স ফিল করে। তার কাছে মনে হয় যে সে পড়ে যাবে। কিন্তু ট্রু ভারটাইগো রোগীরা যে দেখে তার চারপাশ ঘুরছে, ওই ধরনের জিনিস সে দেখে না। তার মধ্যে একটা ফিলিংস আসে, সে মরে যাবে। সিওডোভারটাইগোর কমন কজ হচ্ছে দুশ্চিন্তা, কম ঘুম হওয়া। কিছু ওষুধের কারণেও সিওডোভারটাইগো হয়। কারও যদি ইমব্যালেন্স থাকে, যেমন পারকিনসন রোগ, বয়স্ক মানুষের হাঁটুতে ব্যথা থাকে, কোমরে ব্যথা থাকে, তাদেরও হাঁটতে গেলে ইমব্যালেন্সের কারণে মনে হয় পড়ে যাবে। চোখের সমস্যা থাকলেও সিওডোভারটাইগো হয়। চোখে সে পরিষ্কার দেখছে না বা অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে পারছে না, তখন কিন্তু মাথা ঘোরানোর কমপ্লেইন বলে।
মাথা ঘোরানোর সমস্যা ও প্রতিকার এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।