মেছতা কাদের বেশি হয়, বয়সভেদে আকার বাড়ে?
মেছতা বা ম্যালাজমা ত্বকের বেশ প্রচলিত সমস্যা। মেছতা ত্বকের প্রাকৃতিক রঙের ওপর প্রভাব ফেলে এবং এটি বাদামি রঙের প্যাঁচের মতো হয়। অনেকেই ত্বকে মেছতার সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে মেছতা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মেছতার প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেহরান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
বয়সভেদে মেছতা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মেহরান হোসেন বলেন, মেছতায় বয়সের চেয়ে বেশি যেটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়, সেটা হচ্ছে সেক্স। মহিলাদের বেশি হয়। দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১০ জনে ৯ জন মহিলার হয়, একজন পুরুষের হয়। রেশিও ৯:১। বয়সের মধ্যে ইয়াং, টিনএজারদের বেশি হয়। এমনকি অনেক সময় বয়স্ক মহিলাদেরও মেছতা হয়ে থাকে। সেটার অনেক কারণ আছে। সাধারণত দেখা যায় ১৬-১৭ বছরের আগে মেছতা হয় না। ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৪০-৪৫-৫০ বছরের মহিলাদের মেছতা হতে পারে, এমনকি পুরুষদেরও হয়। হয়তো রেশিও বা পারসেন্ট অনেক কম, কিন্তু হয়ে থাকে।
আমরা দেখি, অনেকের ছোট বয়সে মেছতা হয়েছে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেছতার আকার বাড়ছে, সে ক্ষেত্রে তাদের কী করণীয়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মেহরান হোসেন বলেন, আমাদের জানতে হবে মেছতা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কি ট্রিটমেন্ট করছে না কি করছে না? মেছতাটা কী ধরনের? মেছতা সাধারণত চামড়ার ভেতরের দিকে থাকে, যেটাকে বলা হয় ডার্মাল ভ্যারাইটি... সে ট্রিটমেন্ট নিচ্ছে কি না সেটার ওপর ডিপেন্ড করে। ট্রিটমেন্ট না করলে আস্তে আস্তে বাড়বে। তার যে ট্রিগারিং ফ্যাক্টরগুলো আছে, যেসব কারণে মেছতা বাড়ে বা হয়, সেই ট্রিগারিং ফ্যাক্টরগুলো বন্ধ হয়েছে কি না, না কি এগুলো অনবরত তাকে বাড়াতে সাহায্য করছে; এগুলোর ওপর অনেকখানি নির্ভর করে। যদি আমরা ট্রিগারিং ফ্যাক্টরগুলো বন্ধ না করি এবং তাকে যদি প্রপার ট্রিটমেন্ট না দিই, মেছতা বাড়তে পারে।
বয়সভেদে মেছতার আকার বৃদ্ধির কারণ কী, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।