রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? জেনে নিন টয়লেট ট্রেনিং
কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। কিন্তু এই সাধারণ সমস্যার কারণেই জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়। অনেকে প্রায় সারা বছরই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন। রমজানেও অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানব। সেইসঙ্গে জেনে নেব টয়লেট ট্রেনিং কী।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ নিয়ে কথা বলেছেন ডা. বিলকিস ফাতেমা।
অনেকেই আছেন, যাঁরা অনেক দিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে টয়লেট ট্রেনিংয়ের বিষয়টা আপনারা বলে থাকেন। সঞ্চালক ডা. শারমিন জাহান নিটোল এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. বিলকিস ফাতেমা বলেন, আসলে ব্যাপারটা শুনতে সহজ মনে হয়, রোগীরাও বলে যে টয়লেট ট্রেনিং। ব্যাপারটা আসলে অতটা সহজও না। আবার যে খুব কঠিন, তা-ও না। আমাদের দেশে আগে কিন্তু স্যানিটারি ল্যাট্রিন ছিল না। এখন আছে। শহরে অনেকে আমরা হাই কমোড ব্যবহার করি, গ্রামে এখনও লো কমোড ব্যবহার করা হয়। লো কমোডটা স্বাস্থ্যসম্মত না। আমরা যে ট্রাডিশনাল হাই কমোড ব্যবহার করি, সেটাও যে একদম স্বাস্থ্যসম্মত, সেটাও না। কিন্তু তুলনামূলকভাবে লো কমোডের চেয়ে হাই কমোড ব্যবহার করা ভালো।
ডা. বিলকিস ফাতেমা আরও বলেন, মডার্ন যুগে যে প্রবলেমটা হয়েছে, বাথরুমে যাওয়ার সময় অনেকে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকছে; অনেকের অভ্যাস আছে, খবরের কাগজ নিয়ে ঢুকে যায়; কেউ বা টয়লেটে গিয়ে ধূমপান করে; এগুলোকে আমরা বদভ্যাসই বলব। এই জিনিসগুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, টয়লেটে গিয়ে বসে অনেক জোরে প্রেশার দিই... বেশি তাড়াহুড়ো করাও প্রবলেম, আবার খুব বেশি সময় নিয়ে বাথরুম করাটাও সমস্যা। যখন আমরা চাইব, জোর করে প্রেশার দিয়ে পায়খানা বের করে দেব, সেটাও ঠিক নয়। যেহেতু আমাদের এন্ট্রি পয়েন্ট আছে, আমরা মুখ দিয়ে খাচ্ছি, যদি কোনো বিশেষ রোগ না থাকে, তাহলে পায়খানা না হওয়ার খুব একটা কারণ নেই। আমরা যদি কয়েকটা জিনিস মেনে চলি যে রেগুলার ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটিস, সাথে খাবারদাবার মেইনটেইন করে চলি, পর্যাপ্ত তরল খাবার খাই এবং টয়লেটের যে কথাগুলো আমি বললাম, সেগুলো যদি অ্যাভয়েড করি; বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ সমস্যাগুলো কমে যাবে।
রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্য ও এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।