শীতে সুস্থ থাকতে ৪ পরামর্শ
শীতে সুস্থ থাকা যেন এক চ্যালেঞ্জ। শীতে দিন ছোট হয়ে যায়, তাপমাত্রা নিচে নেমে আসে। এ সময় প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে পড়ে। ধুলাবালি বেড়ে যায়। ঠাণ্ডা-কাশি, হাঁচি, জ্বর, অ্যালার্জি ইত্যাদি শীতের রোগব্যাধি।
শীতে সুস্থ থাকতে সচেতনতার বিকল্প নেই। শীতে সুস্থ থাকতে কিছু পরামর্শ জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট এনএসএইচ।
ক্লান্তি দূর করতে
শীতে ক্লান্তি আসে, আলসে অনুভূতি হয়। দিনের আলো কম হওয়ার কারণে ঘুমের চক্র ব্যাহত হয়। আর এতেই এ ধরনের বিপত্তি ঘটে।
- এই ক্লান্তি দূর করতে যতটা সম্ভব সূর্যের আলোতে যান।
- প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে জেগে উঠুন।
- মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ মানুষকে ক্লান্ত করে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম ও ধ্যান এ চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
প্রচুর সবজি ও ফল খান
শীতে সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস জরুরি। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিতায় প্রচুর সবজি ও ফল রাখুন। শীতে ফলের ক্ষেত্রে কমলালেবু, আঙুর, আনার, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এসব উপাদান ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে উপকারী।
সবজির ক্ষেত্রে গাজর, পালংশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলো মধ্যে রয়েছে বেটা কেরোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব সবজি শীতে সুস্থ থাকার জন্য জরুরি।
দুধ পান করুন
শীতে অধিকাংশই ঠাণ্ডা-কাশিতে ভোগেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুধের বিকল্প নেই। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এক গ্লাস গরম দুধ কার না ভালো লাগে, বলুন। দুধের প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম দেহকে সুস্থ রাখতে খুবই জরুরি। পাশাপাশি দুগ্ধজাত খাবারও খেতে পারেন।
ব্যায়াম
শীত বলেই কি ব্যায়াম বাদ দেবেন? নিশ্চয়ই নয়। শীতেও নিজেকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করুন। বাইরে ব্যায়াম করতে অসুবিধা হলে ঘরে করা যায় এমন ব্যায়াম করুন। সক্রিয় থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং ওজন কমাতে কাজ করবে।