৭ খাবার খান, উচ্চ রক্তচাপ কমান

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য অবশ্যই জীবন যাপন পদ্ধতি পাল্টাতে হবে। কখনও কখনও উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক বলা হয়। কারণ, অনেক সময় দীর্ঘদিন এর কোনো লক্ষণ প্রকাশ হয় না। তবে লক্ষণ দেখা না দিলেও অবস্থা খারাপ হতে পারে। ব্রেইন, হার্ট, চোখ ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস। খাবারে থাকতে হবে পটাসিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ও কম সোডিয়াম। তাহলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে এ পরামর্শগুলো দেওয়া হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমরা খাদ্যতালিকায় কী রাখতে পারি, তাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। আজ আমরা সাতটি খাবার সম্পর্কে জানব—
আম
এখন আমের মৌসুম। আমে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও বিটা-ক্যারোটিন। দুটো উপাদানই রক্তচাপ কমাতে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, বিটা-ক্যারোটিনযুক্ত খাবার ডায়েটে রাখলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আপেল
যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁরা খাদ্যতালিকায় আপেল যুক্ত করবেন। আপেলে রয়েছে কুইয়ারসেটিন নামক উপাদান, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপজনিত নানা জটিলতার হাত থেকেও সুরক্ষা দেয়।
তরমুজ
এখন তরমুজের মৌসুম। তরমুজে রয়েছে সিট্রুলিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং নমনীয়তা বাড়ায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে।
গাজর
গাজর মিষ্টি ও রঙিন সবজি। এটি স্বাস্থ্যকর। এতে থাকা ফাইবার বা খাদ্য আঁশ ও পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া গাজরে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি, যা রক্তচাপ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিটমূল
বিটে রয়েছে উচ্চমাত্রায় নাইট্রিক অ্যাসিড, যা রক্তনালী খুলতে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। আপনি বিট সেদ্ধ করে, ভাজি করে, এমনকি কাঁচাও খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন এক গ্লাস বিটের জুস পান করলে উচ্চ রক্তচাপ বেশ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডিম
ডিম, বিশেষ করে সাদা ডিম উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য কার্যকর। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ডিম খেলে প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমায়।
ডার্ক চকলেট
নিজেকে মিষ্টি থেকে বঞ্চিত করতে চান না? ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। আর এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফ্ল্যাভনয়েড, যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ডার্ক চকলেটে ন্যূনতম ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কোকোয়া থাকে, সেসব ডার্ক চকলেট খেলে রক্তচাপ কমে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি কার্যকর।
এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমাতে টমেটো, পেঁয়াজ, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, কলা বেশ কার্যকর। তবে মনে রাখতে হবে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, দুটোই জরুরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি, না হলে এটি যেকোনো সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে।