কিডনি ভালো রাখতে কী করবেন?
কিডনি ভালো রাখতে বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন- এমনটা ধারণা অনেকেরই। তবে কথাটি কি সঠিক? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৫২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেকে ভাবেন কিডনি ভালো রাখতে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। এটা কতটা সঠিক?
উত্তর : প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি পান করলে ওয়াটার ইনটক্সিকেশন হবে। মাথা ঘুরবে, বমি বমি হবে, খারাপ লাগবে।
প্রশ্ন : কিডনির জন্য কী ক্ষতিকর হবে?
উত্তর: পানি পান করা শরীরের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত পানি
পান সমস্যা করতে পারে।পানি যখন বেশি পান করবে তখন তো ওভার ফ্লো হবে। এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একটি বিষয় হলো পরিমিত পানি পান করতে হবে।
আর দীর্ঘ সময় পানি পান করল না, হঠাৎ বেশি পানি পান করল সেটি করা যাবে না। নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি পান করবে, যেন পানি শূন্যতা না হয়।
কিডনির প্রধান কাজ হলো আমাদের শরীরের যে বর্জ্য সেটি প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেওয়া। কোনো কারণে যদি সেই বর্জ্য কিডনিতে জমে যায়, তখনই তার পাথর বা অন্যান্য সমস্যা বেশি হয়। পানির একটি প্রবাহ যদি শরীরে রাখা যায় তাহলে পাথর হওয়া বা সংক্রমণ হওয়া এমনিতেই কমে যায়। তাই পরিমিত পানি পান করতে হবে। বেশি মানে যে খুব বেশি সেটি নয়, এর একটি পরিমাণ থাকতে হবে।
প্রশ্ন : প্রস্রাবে রক্তক্ষরণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। অনেকে দেখা যায় কয়েকদিন পরে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটি কতখানি ক্ষতিকর হতে পারে?
উত্তর : এটি অনেক ক্ষতি করে। কারণ, যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিকের একটি ডোজ আছে। সাধারণত কিডনির সমস্যা জনিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলো আমরা ১০ থেকে ১৪ দিন দেই। অনেক সময় দেখা যায় রোগী ফার্মেসিতে যায়, ফার্মেসির লোক ওষুধ দিয়ে দিল। তিনদিন বা পাঁচদিন খেল, জ্বর ভালো হয়ে গেল। ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়তো লুকিয়ে গেল, সমস্যা কিছুটা কমে গেল, প্রস্রাবের রং কিছুটা ঠিক হয়ে আসল। তবে ব্যাকটেরিয়াটা কিন্তু পুরোপুরি মারা যায় না। তখন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করে দিল।
পুনরায় সংক্রমণ হলে কিন্তু সেটি হতেই থাকবে। তখন হয়তো এই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। এর চেয়ে বেশি পাওয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক লাগবে। আরো দীর্ঘ সময় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া লাগবে।