হাঁপানি রোগীরা ফেসবুক থেকে সাবধান!
সারা বিশ্বে ৫০ কোটির বেশি লোক ফেসবুক ব্যবহার করে। দিন দিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ফেসবুকে নিজের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি না করলে স্বস্তি পান না অনেকেই। তবে অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার হতে পারে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
‘দি ল্যানসেট’-এর নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত একটি কেস স্টাডিতে জানানো হয়েছে ফেসবুক ব্যবহার অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে। ইতালির গবেষক ডা. জেনারো ডি’এমারতো এ গবেষণা পরিচালনা করেন।
কেস স্টাডিতে জানা যায়,১৮ বছরের ফেসবুক ব্যবহারকারী অ্যাজমায় আক্রান্ত তারুণের বান্ধবীর সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। শতচেষ্টা করেও ঠিক করতে পারে না সেই সম্পর্ক। ব্যর্থ হয়ে অন্য নামে ফেসবুকে নতুন আইডি খুলে ওই তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা করে সে। কিন্তু প্রতিবার ফেসবুক ব্যবহার করার পর তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তরুণের অভিভাবক ডি’এমারতোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি ওই তরুণের নিয়মিত পিক এক্সপেরিটরি ফ্লো (পিইএফ) নির্ণয় করেন। এর মাত্রা অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে কমে যায়। এতে দেখা যায় ফেসবুক ব্যবহারের পর পিইএফের মাত্রা কমে যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ২০ শতাংশ। ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ায় ওই তরুণের শ্বাসকষ্ট কমে যায় তথা পিইএফের মাত্রা বেড়ে যায়।
গবেষকরা মনে করছেন, ফেসবুক ব্যবহারে মানসিক চাপই অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্টের কারণ। বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে এবং বেশির ভাগই তরুণ সমাজের। তাই তরুণ অ্যাজমা রোগীদের ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক হতে সুপারিশ করেছেন গবেষকরা।
গ্রন্থণা : ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু