কিডনির পাথর নির্ণয়ে যেসব পরীক্ষা করা হয়
কিডনির পাথর নির্ণয়ে আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন বাংলাদেশেই রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৮২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ। বর্তমানে তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ও অ্যাডভান্সড সেন্টার অব কিডনির অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কিডনির পাথরের আকার কেমন, কোথায় অবস্থিত? এগুলো বোঝার জন্য কী করে থাকেন?
উত্তর : প্রথমে আমরা রোগীর ইতিহাস নিই। এটিই আমাদের অনেকখানি পরিচালনা করে দেয়। সেটা প্রমাণ করার জন্য সাধারণত আমরা সেরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করি, কিডনি কেমন কাজ করে দেখার জন্য। তার মাত্রাটা দেখি। প্রস্রাবের সাধারণ পরীক্ষা বা রুটিন পরীক্ষা করি। এরপর আমরা করি ইন্ট্রাভেনাস ইউরোগ্রাফি অথবা নন-কনট্রাস সিটি স্ক্যান। সিটি স্ক্যান করেও কিডনির পাথর দেখা যায়। তবে সাধারণভাবে সব জায়গায় সিটি স্ক্যান বা ইন্টারভেনাসের সুযোগ নেই। সেখানে একটি সাধারণ এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাম করলেই বুঝতে পারবে, পাথর আছে কি না।
শেষে আমাদের যে পরীক্ষা করতে হবে সেটি হলো, সিটি ইউরোগ্রাম অথবা ইন্ট্রাভেনাস ইউরোগ্রাম। এটা করে আমরা নিশ্চিত হই যে কিডনির পাথর কোন এলাকায় আছে।