কিডনির পাথর কোন আকারে থাকলে এমনি বেরিয়ে যায়?
কিডনির পাথর অনেক সময় এমনি বেরিয়ে যায়। আবার অনেক সময় বড় ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৮২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ। বর্তমানে তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ও অ্যাডভান্সড সেন্টার অব কিডনির অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কিডনির পাথর কোন আকারের থাকলে এমনিই বের হতে পারে? আর কখন অবশ্যই অস্ত্রোপচারে যেতে হবে?
উত্তর : খুব সহজ একটি বিষয়। যেমন ধরেন, ভারতের হিমালয়ে পাথর তৈরি হচ্ছে, নদীর স্রোতে গড়িয়ে গড়িয়ে আমাদের সুনামগঞ্জে, জাফলং এলাকায় এসে পাথরগুলো আটকে যাচ্ছে। ছোট পাথরগুলো হয়তো গড়িয়ে গড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যাচ্ছে। তা হলে জলস্রোতটাই আসল। কিডনির বিষয় হলো, প্রস্রাবের স্রোতেই পাথরটা বেরিয়ে যাবে, যদি পাথরটা রাস্তার চেয়ে ছোট আকারের হয়। রাস্তা হলো ছয় মিলিমিটার। যদি এর চেয়ে ছোট পাথর হয়, তাহলে বের হয়ে যেতে পারে, যদি প্রদাহের কারণে আটকে না যায়। আর যেগুলো বড় পাথর, ধরেন এক সেন্টিমিটার পাথর হয়ে গেছে, তাকে যদি বলি এটি বেরিয়ে চলে যাবে, ওকে লাঠি দিয়ে পেটালেও তো বের হতে পারবে না। কারণ, রাস্তাটাই তো ওর চেয়ে ছোট।
অনেক সময় গোটা কিডনিভর্তি পাথর নিয়ে আমাদের কাছে আসে; হরিণের মাথার সিংয়ের মতো ডালপালাওয়ালা পাথর। সেসব পাথর কী করে বেরিয়ে যাবে? তাহলে তাদের সাহায্য করে বের করতে হবে। ডাক্তারি সাহায্যের মাধ্যমে বের করতে হবে।
আর অপারেশন-ভীতি হয়তো একসময় ছিল, অনেক আগে, তখন হয়তো আমরা ছাত্রও হইনি। অপারেশন একটি পদ্ধতি। এখন আর পেট কাটা তো লাগছে না। মানুষের রক্তপাত করা লাগছে না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে অজ্ঞানও করা লাগছে না। সুতরাং ভীতি থাকার কোনো যুক্তিই নেই। যদি আমরা সারা দেশের মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে পারি, আপনার পেট কাটা হচ্ছে না, অজ্ঞানও করা লাগছে না, আপনি যেমন টেলিভিশন স্ক্রিনে আমাদের দেখছেন, তেমনি তাঁর কিডনি ও পাথরকে বের হতে দেখবেন। আমরা স্ক্রিন দেখে দেখেই পাথরটা বের করছি।