মার্কারি ফিলিংয়ে হতে পারে ক্যানসার
এক সময় কালো ফিলিং বা মার্কারি ফিলিং বা অ্যালোয় ফিলিং করা হতো। তবে এখন আর এই ফিলিং তেমনভাবে করা হয় না। এখন প্রচলিত কসমেটিক ফিলিং। এর কারণ কী? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন। বর্তমানে তিনি রতন’স ডেন্টালে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এক সময় ছিল কালো ফিলিং বা অ্যালোয় ফিলিং। এখন আপনারা জোড় দিচ্ছেন কসমেটিক ফিলিংয়ের দিকে। এর কারণ কী?
উত্তর : এখন কথা হলো কোনো ডেনটিস্টকে বা কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না। আমার প্রতিষ্ঠানে অ্যালোয় ফিলিং করা হয় না। কারণ, আমরা শুনেছি মার্কারি পয়জনিং হয়। এটি কী? কারসিনোজেনিক একটি জিনিস। আমরা রোগী পেয়েছি এ রকম। তার স্তন ক্যানসার হয়ে গেছে।
তখনকার দিনে অন্য কোনো ফিলিং করার উপাদান ছিল না। এটি লাইভ লং ( দীর্ঘমেয়াদি) ফিলিং ছিল। কারণ, এতে মেটাল, মার্কারি ও অ্যালোয়কে মিশিয়ে ফিলিংটা করা হতো। তবে এখন এই ফিলিংটা আর করা চলবে না। কারণ, গবেষণার পর আমরা জেনে গেছি। মার্কারি একটি বিষ। তাই শরীরের মধ্যে এটি নেওয়া যাবে না। আমরা যারা চিকিৎসকরা এটা ব্যবহার করি বা আমাদের টেকনিশিয়ানরা যে এটি বানায় সে তো ভ্যাপারটা সবসময় নিচ্ছে। সে তো আরো ক্ষতিগ্রস্ত। এই জন্য এই ধরনের ফিলিং এখন আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধ। তাই এখন এটি না করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি। এটি কিছুটা সস্তা বলে তৃতীয় বিশ্বে কিছুটা টিকে রয়েছে না হলে টিকে থাকার কোনো কারণ ছিল না।
আমরা যেই কম্পোজিট ফিলিং করি সেটি পুরোপুরি কালার ম্যাচ করে দিতে পারি। কোনো রোগী যদি ধারণা করেন, এটা তার সারা জীবন চলবে মেটাল ফিলিংয়ের মতো, তাহলে এটি তার ভুল ধারণা। যেকোনো ফিলিংই পাঁচ বছর পর পর পরিবর্তন করা প্রয়োজন। কারণ, যখন ফিলিংটা গর্তের মধ্যে দেওয়া হয়, এটি তো ব্যবহার হয়। চারদিক দিয়ে একটু লিকেজ হয় না। ওই লিকেজ দিয়ে আবার তখন খাবার ঢুকবে। এই জন্য ফিলিংকে পরিবর্তন করা উচিত।