মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে যেসব ক্ষতি
মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে নানা ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মনিলাল আইচ লিটু। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নাক কান গলা ও হেড নেক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মোবাইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে শারীরিক ও মানসিক কী কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর : আমরা যদি বয়স অনুযায়ী চিন্তা করি, ১২ বছরের কম যে শিশুরা, তাদের ক্ষেত্রে এক ধরনের প্রভাব রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের এক ধরনের প্রভাব রয়েছে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে আরেকটি প্রভাব রয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ মোবাইল ব্যবহার। ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। ঘুমের সমস্যা, বিষণ্ণতা, স্যালাইভারি গ্রন্থিতে টিউমার এগুলো হতে পারে। দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত আসক্তি কাজের সময় নষ্ট করে। যাঁরা বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের বিষণ্ণ হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি হচ্ছে স্ক্রিন এডিকশন। স্ক্রিনের প্রতি সব সময় তাদের একটি আসক্তি থাকে। এর পর তাদের মূল কাজ যেটা, লেখাপড়া বলেন, সামাজিকীকরণ বলেন, খেলাধুলা—কোনো কিছুর প্রতি তার নজর থাকে না। স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে যায়।
শারীরিক প্রভাব বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আরো রয়েছে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়। কানে শোনে কম। অস্টিওপরোসিস বেশি হয়। বিষণ্ণতার সংখ্যা বেশি। সাইবার বুলিং হয় তাদের প্রতি। এক-তৃতীয়াংশ বাচ্চা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়। বিভিন্ন গ্যামস, অ্যাপসের মাধ্যমে এটি হয়। ক্রিমিনাল গেমস কচি মনে বা সরল মনে প্রভাব ফেলে।
এ ছাড়া মোবাইল ফোন পকেটে রাখলে দেখা যায়, স্পার্ম বা ভ্রুণের কোয়ালিটি কমে যাচ্ছে। হার্টের সমস্যা দেখা যায়, যদি বুকে রাখা হয়।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় গাড়ি চালানোও কিন্তু নিষিদ্ধ। দেখা যাচ্ছে, গাড়ি চালানোর সময় যাঁরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন, তাঁদের ছয় ভাগ বেশি দুর্ঘটনা হচ্ছে।