ভালো পশু চেনার উপায় জানেন?
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পশুর হাট বসেছে বিভিন্ন জায়গায়। হাটে রয়েছে নানা আকারের পশু। এর মধ্য থেকে ভালো পশু কেনা একটু কঠিন। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে ভালো পশু কিনতে পারবেন সহজেই।
ভালো পশু চেনার উপায় বিষয়ে কথা হয় সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাকিল মাহমুদের সঙ্গে। তাঁর পরামর্শমতে—
১. ভালো পশু সব সময় চঞ্চল থাকবে। ঝিমুবে না, ঘুমাবে না। কাউকে দেখলে তেড়ে আসবে বা গুঁতা দিতে চাইবে। অসুস্থ পশু বসে থাকার চেষ্টা করবে। বেশি দাঁড়াতে পারবে না। বাহ্যিকভাবে দেখলে বোঝা যাবে সে ক্লান্ত ।
২. ভালো পশু সব সময় জাবর কাটতে চাইবে। সামনে খাবার দিলে খাবে। অসুস্থ পশু খাবার দিলে তেমন খেতে চাইবে না। মুখ সরিয়ে নেবে, জাবর কাটবে না।
৩. সুস্থ পশু মোটাতাজা থাকবে না। চামড়া খসখসে থাকবে। আর চামড়া খুব উজ্জ্বল দেখাবে, মসৃণ দেখাবে। কেননা খারাপ পশুর ক্ষেত্রে মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে চামড়ার নিচে পানি জমে যায়।
৪. খারাপ পশুর পাঁজরের হাড় দেখা যাবে না। ভালো পশুর ক্ষেত্রে অন্তত একটি/দুটি পাজরের হাড় দেখা যাবে।
৫. ভালো গরুর পেছনের পায়ের মাংসগুলো শক্ত হয়। তাই চাপ দিলে আঙুলগুলো বেশি ঢুকবে না। আর মোটাতাজাকরণ করা গরুর ক্ষেত্রে আঙুল একটু দেবে যাবে।
৬. যেসব পশুকে ট্যাবলেট খাওয়ায়, হরমোন খাওয়ায় তাদের প্রস্রাবের পরিমাণ কম থাকবে। প্রসাবের রং অস্বাভাবিক থাকবে। তবে ভালো পশুর ক্ষেত্রে এমনটা সাধারণত হয় না।
৭. সুস্থ পশুর ক্ষেত্রে পেছনের জায়গা পরিষ্কার থাকবে। আর অসুস্থ পশুর ক্ষেত্রে পেছনে পায়খানা লেগে থাকবে, পায়খানা একটু পাতলা থাকবে।
৮. মোটাতাজাকরণ করা পশুর ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকবে। সুস্থ পশুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকবে না।
৯. সুস্থ পশুর নাক ও মুখের জায়গাটা সব সময় ভেজা ভেজা থাকবে। আর অসুস্থ পশুর নাক ও মুখের জায়গাটা শুকনো থাকবে।
১০. অসুস্থ পশু শ্বাস-প্রশ্বাস জোরে জোরে নেবে। শ্বাস-প্রশ্বাস বেশি থাকবে। আর ভালো পশু স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেবে। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা থাকবে না।
১১. সুস্থ পশুর আশপাশে মাছি-মশা বসবে। সে লেজ বা পা নেড়ে তাড়িয়ে দেবে। অসুস্থ পশু তাড়িয়ে দেবে না।