রোগীরা লাল মাংস যেভাবে খাবেন
সাধারণত গরু, খাসি, মহিষ, ভেড়ার মাংসকে লাল মাংস বা রেড মিট বলা হয়। এর মধ্যে মায়োগ্লোবিন নামক উপাদান বেশি থাকার কারণে মাংস লাল হয়। এই মাংসে উচ্চ মাত্রার চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকার কারণে খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি থেকে যায়। তাই রোগীদের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হয়ে মাংস খাওয়া প্রয়োজন।
রোগীদের জন্য লাল মাংস খাওয়ার বিষয়ে কিছু পরামর্শ :
- একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন গড়ে ১০০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারেন।
- যাঁদের পাকস্থলীতে আলসার রয়েছে, লাল মাংস তাঁদের রোগ বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা প্রোটিনের বিকল্প উৎসের দিকেই অধিক মনোযোগী হবেন।
- কিডনি ফেইলিউরের রোগীদের জন্য প্রতিদিন বরাদ্দ প্রোটিনের পরিমাণ ৩০ গ্রাম। যাঁরা ডায়ালাইসিস করেন, তাঁরা ৭০ গ্রাম করে খেতে পারবেন। সাধারণত কিডনির রোগীদের লাল মাংস এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই লাল মাংস খাবেন কি না, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
- যাঁদের অপারেশন হয়েছে বা শরীরের কোনো গভীর ক্ষত রয়েছে, তাঁরা প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেতে পারবেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন তার আগে।
- গাউট বা গেটে বাতের রোগীরা লাল মাংস খাবেন না। লাল মাংস রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।
- যাঁরা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁরা লাল মাংস যথাসম্ভব কম খাবেন। প্রোটিনের জন্য তাঁরা মাছ-মুরগির মাংস প্রভৃতি বিকল্প উৎসের দিকে মনোযোগী হবেন।
- লিভারের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী লাল মাংস খাবেন।
লেখক : রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।