কোমর ব্যথার সার্জারিতে ঝুঁকি?
কোমর ব্যথা খুব জটিল পর্যায়ে গেলে অনেক সময় সার্জারির প্রয়োজন হয়। তবে অনেকে ভাবেন, সার্জারি করে তেমন কোনো লাভ নেই। এতে ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক জিল্লুর রহমান। বর্তমানে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯০২তম পর্বে কথা বলেন।
প্রশ্ন : কোমর ব্যথার সার্জারির ক্ষেত্রে অনেকে ভয় পান। ঝুঁকি বলে মনে করেন। তাদের ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : সার্জারিগুলোর এখন অনেক আধুনিক পদ্ধতি চলে এসেছে। যেমন আগে অস্ত্রোপচার করলে প্রায় পাঁচ থেকে সাতদিন শুইয়ে রাখতে হতো। এক বছর পর্যন্ত একটু একটু ব্যথা থাকত। আস্তে আস্তে আমরা নড়াচড়া করতাম। এখন এটি এত সহজ হয়ে গেছে যে অস্ত্রোপচার করার পরের দিনই ছুটি দিতে পারি। একদিন মাত্র ২৪ ঘণ্টা থাকতে হয়। রোগী দ্রুত নড়াচড়া করতে পারে। কিছু কিছু ব্যায়াম পরে শিখিয়ে দিলে আস্তে আস্তে রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এটা এত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
প্রশ্ন : ফিজিও থেরাপির ভূমিকা কোমর ব্যথায় রয়েছে?
উত্তর : ফিজিওথেরাপির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
প্রশ্ন : সেটি কাদের ক্ষেত্রে এবং কতদিন ধরে চলতে থাকে?
উত্তর : অস্ত্রোপচারের পরের দিন থেকে আমরা ফিজিওথেরাপি করার পরামর্শ দিই। ফিজিওথেরাপি করলে দেখা যায় যে সাধারণত রোগী তিন থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করতে পারে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।