দাঁত ব্রাশের পদ্ধতি কেমন হবে?
মুখ ও দাঁতের যত্নে আমরা দাঁত ব্রাশ করি। তবে দাঁত ব্রাশের ভুল পদ্ধতির জন্য অনেক সময় দাঁতে ক্ষয়, মাড়ির রোগ ইত্যাদি সমস্যা হয়। তাই দাঁত ব্রাশের সঠিক পদ্ধতি জানা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৩৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন। বর্তমানে তিনি রতন’স ডেন্টালে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কখন কখন মুখ ও দাঁতের পরিচর্যা করা উচিত। দাঁত ব্রাশের পদ্ধতিটা কী রকম?
উত্তর : দাঁত অনেকেই ব্রাশ করে। সে জানে না ব্রাশ কীভাবে করতে হয়। এটি ব্যবস্থাপনা করার জন্য কী কী করণীয় রয়েছে, সেটি দেখতে হবে। আন্তর্জাতিক পদ্ধতি হলো, প্রতি ছয় মাস বিরতিতে ডেন্টাল সার্জনের কাছে যেতে হবে। মুখটা চেকআপ করতে হয়। কারণ, মুখে কোনো সংক্রমণ হলে তারই ক্ষতি নয়, পাশে যে থাকে তারও ক্ষতি।
ব্রাশ করতে হবে, ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। বিভিন্ন পদ্ধতির ব্রাশ বের হয়েছে। প্রাগৈতিকহাসিক যুগে ছিল মেসওয়াক। মেসওয়াক থেকে এক ধরনের রস বের হয়। তবে এখন তো আর এগুলো ব্যবহার হয় না। এ জন্য আমরা পেস্ট বা মাউথওয়াশ যেকোনো লুব্রিকেন্ট হিসেবে ব্যবহার করি। এ ধরনের জিনিস আজকাল মার্কেটে বেরিয়েছে। এগুলো দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁতের সুরক্ষা অন্তত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হয়।
সারা দিন কাজের পর বাসায় ফিরে যেকোনো মাউথওয়াশ দিয়ে যদি ব্রাশ করি, তাহলে ভালো।