জ্বর কী কী ধরনের হয়?
জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। জ্বর বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দীন। বর্তমানে তিনি বারডেমের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কী কী ধরনের জ্বর রয়েছে?
উত্তর : জ্বর কোনো অসুখ নয়, রোগের উপসর্গ। আমরা যারা চিকিৎসা করি, তারা জ্বরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করি। যেমন, একটি ধরি ভাইরাল ফিবার। সাধারণ সাত দিনের বেশি যে জ্বর থাকে, সেটি ভাইরাল ফিবার নয়। সাত দিনের বেশি হলে আমরা ভাবি এটি টাইফয়েড বা রিকেটসিয়া জাতীয় অসুখ। আবার তিন সপ্তাহের বেশি যদি কোনো জ্বর হয়, তখন আমরা ভাবি টিবি বা অন্য কোনো অসুখ। বাস্তবিকভাবে আমরা দেখি, অনেকে জ্বর না থাকলেও বলে, ‘রাতের বেলা আমার ঠান্ডা লাগে। রাতে কম্বল গায়ে দিতে হয়। তো আমার মনে হয় জ্বর চলে এসেছে। শীত শীত লাগে।’ এগুলো কিন্তু আসলে জ্বর নয়। থার্মোমিটারে যদি একশর বেশি জ্বর থাকে, যেমনটা আমি বলছিলাম, চার দিনের জ্বর, পাঁচ দিনের জ্বর—একে আমরা সাধারণত ভাইরাল ফিবার মনে করি। ভাইরাল ফিবার বোঝার আরো অনেক রাস্তা রয়েছে। নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়, গা-হাত-পা ব্যথা করে। একেকটি রোগের একেক উপসর্গ। র্যাশ বের হয়, গিঁড়ায় ব্যথা হয়। চিকুনগুনিয়া তো সারা দেশে ছড়িয়েছে, পাশের দেশেও রয়েছে। ডেঙ্গু তো ২০০০ সাল থেকেই চলছে। চিকুনগুনিয়া আর ডেঙ্গু প্রায় একই রকম। এই অর্থে যে একই মশা দিয়ে ছড়ায়। চিকুনগুনিয়ার সমস্যা হলো ব্যথা। গায়ের ব্যথার তুলনায় হাতে ও পায়ের ব্যথা বেশি। নামাজ পড়তে গেলে বোঝা যায় চিকুনগুনিয়া কী জিনিস।
প্রশ্ন : ঠান্ডা জ্বর বা সর্দি না হলে শুধু যদি জ্বর হয়, সাত দিনের মধ্যে যদি সেটা ঠিক হয়ে যায়, সেটিও কি ভাইরাল ফিবার?
উত্তর : শুধু শুধু কোনো কিছু থাকে না। ভাইরাল ফিবারে একটি না একটি লক্ষণ থাকবে।