অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স সম্পন্ন না করতে পারলে করণীয়
অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করে। তবে ভুলে হয়তো একবেলার ডোজ বা দুই বেলার ডোজ বাদ দিয়ে দেয়। কোর্স সম্পন্ন করতে না পারার মতো এই ধরনের সমস্যায় করণীয় কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রফিক আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যেই জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই, সেখানে যদি অ্যান্টিবায়োটিক খাই, আর যেখানে প্রয়োজন যেখানে যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম খাই, তাহলে কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর : এটি একটি মহামারি সমস্যা। আমি চিকিৎসক। আপনাকে এক সপ্তাহ অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার জন্য দিলাম। আপনি দুই দিন খাওয়ার পর দেখলেন আপনার জ্বর নেই। ওষুধ বন্ধ করে দিলেন। অনিয়মিত অপর্যাপ্ত অ্যান্টিবায়োটিক, বেশি ক্ষতি করে। এখানে ড্রাগ রেজিসটেন্স বলে একটি শব্দ আছে। আমরা তো শুধু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করি ব্যাক্টেরিয়ার জন্য।
ধরলাম একটি ভাইরাল জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছি। যদি তাকে বুঝাতে পারি যে এটি এই কয়দিন খাওয়া লাগবে তাহলে ভালো হয়। কাউন্সেলিং খুব ভালো। আর রোগী যদি সেই কয়েকদিন খায়, অ্যান্টিবায়োটিকের যদি অপব্যবহারও হয়, তাহলেও ড্রাগ রেজিসটেন্স হবে। ব্যাক্টেরিয়াগুলো পরে আর স্বাভাবিকভাবে ধ্বংস করা যাবে না। এই ড্রাগ রেজিসটেন্স পুরো পৃথিবীর জন্য হুমকি স্বরূপ।
প্রশ্ন : অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শুরু করার পরে অনেক সময় বাদ পড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : অ্যান্টিবায়োটিক আমি দিয়েছিলাম, সেটি খাচ্ছে না, ২৪ ঘণ্টা পর যদি আসে, আমরা অন্য ওষুধ দেই। কারণ অ্যান্টিবায়োটিকের গায়ে স্পষ্ট করে লেখা থেকে রেজিস্টার্ড ফিজিশিয়ানের পরামর্শ ছাড়া সেবন নিষিদ্ধ। আমি বুঝব, এটা একদিন/ দুই দিন সেবন করার পর গ্যাপ দিয়েছে। তখন আমি সীদ্ধান্ত নেব যে এই গ্রুপ আর তাকে দেব না, অন্য গ্রুপে চলে যাব।
আসলে যদি ডোজ বাদ পড়ে যায়, আর সেটা যদি ২৪ ঘণ্টার ওপরে হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক এই ওষুধ বাদ দিয়ে নতুন গ্রুপের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন।